চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত সিল্ক রোড কাশ্মীর দিয়ে যাবে বলে আপত্তি জানিয়েছে ভারত। কাশ্মীরের বিষয়ে বেজিংয়ের অবস্থান বদলায়নি। তা সত্ত্বেও ভারতের এই আচরণের কোনও কারণ নেই। রাস্তার উদ্যোগকে ভারত ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখছে। ভারতের এই ক্লিশে মনোভাব বদল করা উচিত। তাতে ভারতেরই লাভ হবে।’
প্রস্তাবিত সিল্ক রোড নিয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ শীর্ষক বৈঠক আয়োজন করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাকস্তান, পাকিস্তান সহ ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ৫০টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রধান, বিভিন্ন দেশের ১০০ জন মন্ত্রী এবং ১,২০০ অতিথি এই বৈঠকে যোগ দেবেন। আগামী মাসে ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তাঁকেও সিল্ক রোড নিয়ে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাবেন জিনপিং। সেখানে ভারত এই বৈঠক করলে অস্বস্তিতে পড়বে বলে দাবি চিনের সংবাদমাধ্যমের।
চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে দু দেশই উদ্যোগী হলেও, বাংলাদেশ-চিন-ভারত-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডর এবং সিল্ক রোড তৈরির চেষ্টা শুরু করেছে বেজিং। সেই কারণেই এ বিষয়ে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করছে সংবাদমাধ্যম।