বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে সব দলের নেতারা বলেন, সম্প্রতি ‘বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় আগ্রাসন ও বারংবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে’র ফলে এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা বিপন্ন হতে বসেছে। এর নিন্দা করছেন তাঁরা। পাক নেতারা এও বলেন, ‘কাশ্মীরী জনগণের বিদ্রোহ দমনে ভারতের নির্মম দমনপীড়ন থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় সন্ত্রাসবাদী হামলার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’ তাঁরা ভারতের এহেন প্রচেষ্টা খারিজ করছেন। কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সমর্থনের প্রশ্নে পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি পাক নেতারা বালুচিস্তানে ভারতের বিরুদ্ধে ‘হস্তক্ষেপে’র অভিযোগও তুলেছেন। বলেছেন, অস্থিরতা ছড়িয়ে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় ভারত, যা র-এর সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় নৌ অফিসার কুলভূষণ যাদবের গ্রেফতারি ও স্বীকারোক্তি থেকেই প্রমাণিত।
প্রথমে ভারতের বয়কট, তারপর বাকি বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ সরে যাওয়ায় ইসলামাবাদে ১৯-তম সার্ক সম্মেলন বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁরা বলেন, সার্কে গঠনমূলক আলোচনায় যোগ দিতে অস্বীকার সহ দ্বিপাক্ষিক, বহুস্তরীয় আলোচনার যাবতীয় কূটনৈতিক প্রয়াস ভারত বানচাল করতে চায়।
রেডিও পাকিস্তান-এর খবর, বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো বৈঠকে বলেন, নানা প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকলেও তাঁর দল এখন সরকারের পাশেই রয়েছে। একমাত্র ‘ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানই ভারতীয় আগ্রাসনে’র মোকাবিলায় সক্ষম বলে অভিমত জানিয়ে তিনি বলেন, একযোগে কাজ করে আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারব। কাশ্মীর সমস্যার কোনও সামরিক সমাধান নেই বলেও দাবি করেন তিনি। বিরোধী শিবিরের নেতা, পিপিপি-র এইতজাজ আহসান বলেন, কাশ্মীরের মানুষের দাবি মেনেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে।
বৈঠকে ছিলেন না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, যিনি দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কিছুদিন হল নওয়াজের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। তবে তাঁর দলের আরেক শীর্ষ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, বৈঠক থেকে ভারত ও আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, কাশ্মীর বিতর্কে পাকিস্তানের সব দল একজোট।