ওয়াশিংটন: বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা। বিয়ের তিন মাস পর ফ্লোরিডার মিয়ামির গোল্ডেন বিচের বাড়িতে বসে ৬৮ বছরের স্বামীর পারিবারিক অ্যালবাম দেখছিলেন ২৪ বছরের তরুণী স্ত্রী। স্বামীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের ছবি দেখে তো আঁতকে উঠলেন ওই তরুণী। এ কি! স্বামীর ছেলে-মেয়েদের একজন তো তাঁর বাবা!


মাথায় হাত দিয়ে বসলেন তিনি। তাহলে নিজের দাদুই তাঁর স্বামী! ফ্লোরিডা সান পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

ওই বৃদ্ধর বক্তব্য, প্রথম স্ত্রীর তাঁকে ছেড়ে চলে যান। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একেবারে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এরপর বেশ কয়েক বছর স্ত্রী ও সন্তানদের খুঁজতে মরিয়া চেষ্টা চালান তিনি। এমনকি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলিরও সাহায্য নেন। কিন্তু তোনও ফল হয়নি।

পরে ফের বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়েতেও অনেকগুলি সন্তানসন্ততি হয় তাঁর। কিন্তু এবারও দুর্ভাগ্যবশত বিয়েটা টিকল না। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। আর এই বিচ্ছেদের ফলে প্রচুর অর্থব্যয় হয় তাঁর।

কিন্তু দু বছর আগে হঠাত্ করে ভাগ্য খুলে যায় বৃ্দ্ধের। কয়েক মিলিয়ন ডলারের জ্যাকপট জেতেন তিনি।

আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসায় ফের গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন বৃদ্ধ। পাত্রী খুঁজতে একটি স্থানীয় ডেটিং এজেন্সির দ্বারস্থ হন তিনি।

ওই বৃদ্ধ বলেছেন, ওই ডেটিং এজেন্সির ওয়েবসাইটে প্রচুর আকর্ষণীয় তরুণীদের ছবির মধ্যে একটা ছবিতে চোখ আটকে যায় তাঁর। ছবিটি দেখে খুব চেনা মনে হয়। কেন এত চেনা মনে হচ্ছে, তার কারণ অবশ্য খুঁজে পাননি তিনি।

একটি রেস্তোরাঁয় ওই তরুণীর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়। ওই তরুণী জানান, অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ায় তাঁর বাবা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। (ওই তরুণীর বাবা আসলে বৃদ্ধের ছেলে)। এরপরই বৃদ্ধকে বিয়ে করে তাঁর বাড়িতে আসেন ওই তরুণী।

তরুণী জানিয়েছেন, ফটো অ্যালবামে বাবাকে দেখে প্রথমটায় একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা এতটাই দৃঢ় যে এই ঘটনার পরও সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা ভাবিনি।

প্রথম দুটি বিয়ে টেকেনি। তাই তৃতীয় বিয়ের পরিণতিও যাতে একই না হয় তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বৃ্দ্ধও।

সম্পর্কের কথা জানার পরও তাঁরা এখনও একসঙ্গেই রয়েছেন।