নয়াদিল্লি: গুলশনের হামলার তদন্তে বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর বোঝাপড়া রেখে কাজ করছে ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। ঢাকার হাই প্রোফাইল কূটনৈতিক জোনে হোলি আর্টিজান বেকারির ওপর গত শুক্রবার রাতে সশস্ত্র জঙ্গিদের ঝাঁপিয়ে পড়ার পিছনের চক্রান্তের রহস্য উদ্ঘাটনে ভারতীয় এজেন্সিগুলি বাংলাদেশি তদন্তকারীদের  সঙ্গে ব্যাপক সমন্বয় তৈরি করে এগচ্ছেন। এ কথা জানিয়েছেন এক শীর্ষ সরকারি অফিসার।


সেদিনের হামলায় ২০ পণবন্দিকে খুন করে ঘাতকরা। প্রাণ হারান ২ জন পুলিসকর্মীও।

ওই সরকারি অফিসার বলেন, সে দেশে বন্ধু সরকার মাথায় রয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে সাহায্য  করতে দায়বদ্ধ। সেটাই করা হচ্ছে।

তবে ভারতীয় গোয়েন্দারা সরাসরি ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশি  তদন্তকারীদের দলে যোগ দিয়েছেন কিনা, তা পরিষ্কার নয়।

ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী হামলার দায় নিলেও বাংলাদেশের দাবি, নাশকতা চালিয়েছে তাদের দেশের মাটিতে শাখা বিস্তার করা সন্ত্রাসবাদীরাই। সরকারি কর্তাটি বলেছেন, ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি গুলশনের ঘটনার আইএসের ছায়াই দেখতে পাচ্ছেন।

এদিকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সাহায্য চাইছে বাংলাদেশ। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি আশাবাদী যে, সন্ত্রাসবাদ ও হিংস্র জঙ্গিপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে আন্তর্জাতিক মহল।

এদিন প্রায়  ৫০ জন বিদেশি কূটনীতিককে গুলশনের ঘটনার ব্যাপারে অবহিত করে বাংলাদেশ সরকার। তাঁরা যে দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে দায়বদ্ধ, সে কথা জানান আলি। পাশাপাশি এও জানান, সন্ত্রাসবাদ গোটা দুনিয়ার সামনেই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। তাই তাঁরা অন্য  দেশগুলি, আঞ্চলিক সংস্থা ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এর মোকাবিলা করতে চান।