মালয়েশিয়া-নিবাসী মহারাজ মোহন নামে বছর পঁচিশের ওই ব্যক্তি পেশায় কনসালটেন্ট। খবরে প্রকাশ, গতকাল রাতে তিনি সিঙ্গাপুরে এসে শাংরি-লা হোটেলে চেক-ইন করেন। তবে, নিজের ঘরে না গিয়ে গোটা সময়টাই হোটেলের লবিতে কাটিয়ে দেন। উদ্দেশ্য ছিল, ট্রাম্পকে এক ঝলক দেখতে পাওয়া।
তবে, সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি মহারাজের। এত কষ্ট, এত অর্থ ও সময় ব্যয় করে তিনি শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৮ টনের লিমুজিন ‘দ্য বিস্ট’-এর সঙ্গে একটা সেলফি তুলতে সক্ষম হন। যদিও, তাতে চিন্তিত নন মহারাজ। বলেন, ৩৮ হাজার টাকা বড় অঙ্ক। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগের তুলনায় তা নগন্য।
মহারাজ জানান, তিনিও জানতেন যে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ প্রায় ১ শতাংশের মতো ছিল। বলেন, অনেকসময় অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায়। কে জানে? ট্রাম্পের গতিবিধির ওপর নজর রাখতেই তিনি সকাল সাড়ে ৬টা থেকে লবিতে কাটিয়ে দেন।
তার আগে, গতকালও পাঁচ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন হোটেল-লবিতে। ইচ্ছে ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে লেখা—‘ট্রাম্প: দ্য আর্ট অফ দ্য ডিল’ বইতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নেওয়া। যদিও, সেই ইচ্ছা অধরাই থেকে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন সেন্টোসা দ্বীপে কাপেল্লা হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন, তিনি তখ দূর থেকে এক ঝলক দেখেন মহারাজ। ব্যস ওইটুকুই। বলেন, তাঁর এই ট্রাম্প-প্রীতির জন্য অনেকে মালয়েশিয়ায় তাঁকে ঘৃনা করেন। প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠক করতে সিঙ্গাপুরে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।