দম্পতি কীভাবে নীচে পড়ে গেলেন, তার তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন পুলিশ। এদিকে বিষ্ণুর ভাই জানিয়েছেন, তাঁর দাদা-বৌদি খুব সম্ভবত খাদের ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। সেটাই বিপদ ডেকে এনেছে। প্রসঙ্গত, মৃত্যুর ঠিক আগে অপর এক জুটির সেলফিতেও দেখা যায় মিনাক্ষীকে। সেসময় তিনি খাদের একেবারে ধারেই দাঁড়িয়েছিলেন। সেই ব্যক্তিই জানিয়েছেন মিনাক্ষীকে ওইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনিই কিছুটা ভয় পেয়ে যান। কারণ, বিপজ্জনক খাদের একেবারেই ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
পার্কের রেঞ্জাররা প্রথমে দম্পতির দেহ দেখতে পান গত বৃহস্পতিবার। কারণ, পার্কে আসা অন্যান্য পর্যটকরা দীর্ঘক্ষণ একটি ক্যামেরা এবং ট্রাইপড পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা রিপোর্ট করার পরই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। তখনই নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায় দুজনের দেহ। পরে হেলিকপ্টারের সাহায্যে নীচে থেকে দেহ দুটি তোলা হয়।
এই ভ্রমণপ্রিয় তরুণ দম্পতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ট্র্যাভেলের পেজও চালাতেন। সেখানে তাঁরা তাঁদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নিতেন। তাঁদের পেজটির নাম ছিল 'Holidays and HappilyEverAfters'।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই দুর্ঘটনার মাসখানেক আগেই বিপজ্জনক স্থানে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার বিষয় সকলকে সতর্ক করেন মিনাক্ষী মূর্তি। আজ হয়তো তিনি নিজেই চলে গেলেন এই সেলফি তোলার নেশাতেই।