সূত্রকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদ চ্যানেল জিও টিভি জানিয়েছে, উজমার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেওয়া বয়ানের প্রতিলিপি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র পাক বিদেশমন্ত্রকে পাঠিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। পাক বিদেশমন্ত্রক এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।
পাক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, আইনি প্রক্রিয়া চুকে গেলেই ওই মহিলা তাঁর ভ্রমণ সংক্রান্ত নথি পেয়ে যাবেন।
গতকালই ইসলামাবাদের আদালতে পাকিস্তানি স্বামীর বিরুদ্ধে হেনস্থা, ভয় দেখানোর অভিযোগ দায়ের করেন উজমা। ম্যাজিস্ট্রেট হায়দর আলি শা-র সামনে নিজের বয়ানও নথিভুক্ত করেন। ম্যাজিস্ট্রেটকে উজমা জানান, বিয়ের জন্য নয়, তিনি পাকিস্তান এসেছিলেন আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তাঁকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়, অভিবাসন সংক্রান্ত নথিপত্রও কেড়ে নেওয়া হয়। স্বামী তাঁর ওপর যৌন অত্যাচার, হিংসা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন উজমা। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তাহির বিবাহিত।
আদালত ১১ জুলাই পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রেখে তাহিরকে পরবর্তী শুনানির দিন হাজিরা দিতে বলেছে। তাহির-উজমার বিয়ে দেওয়া মৌলবী হুমায়ুন খানকেও হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। মৌলবীর অবশ্য দাবি, তিনি উজমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, নিজের ইচ্ছায় তিনি বিয়ে করছেন কিনা, উজমা সম্মতিসূচক প্রতিক্রিয়াই দিয়েছিলেন।
তাহির ৫ মে থানায় জমা দেওয়া আবেদনে জানান, উজমার ভাই তাঁদের ভারতে মধুচন্দ্রিমা কাটাতে যাওয়ার জন্য ডেকেছেন, তাই তাঁরা ভারতীয় হাই কমিশনে যান। তিনি বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, উজমা ভিতরে যান, কিন্তু আর ফেরেননি। উজমাকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাই কমিশনে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করে তাহির পুলিশকে বলেন, স্ত্রীকে উদ্ধার করতে তাদের সাহায্য চান তিনি।