শ্রুতি বাসাপ্পা নামে এই মহিলা ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি ৬ বছর ধরে ইউরোপে আছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও হেনস্থার শিকার হতে হল। বিমানবন্দরে ফুল বডি স্ক্যান হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর পোশাকের মধ্যে কোনও অস্ত্র লুকিয়ে রাখা আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তল্লাশি করার কথা বলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন শ্রুতি বলেন, দু সপ্তাহ আগেই তাঁর পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রও দেখান তিনি। এরপরেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে পোশাক খোলার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে স্বামীকে ডাকেন শ্রুতি। তাঁর স্বামী আসার পরেই নিরাপত্তারক্ষীদের সুর বদলে যায়। শ্রুতির প্রশ্ন, ইউরোপের নাগরিক সঙ্গী বা সহযাত্রী সঙ্গে থাকলেই কি বাদামি চামড়ার মানুষ সন্দেহের উর্ধ্বে? তিনি একা থাকলে বা তাঁর স্বামী ইউরোপের নাগরিক না হলে কী হত?
এ বিষয়ে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরের যাত্রী তল্লাশি বিভাগের আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ফেসবুকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এভাবে কোনও যাত্রীকে পোশাক খোলার নির্দেশ দেওয়ার নিয়ম নেই। শ্রুতি যেন তাঁদের গোটা ঘটনার কথা জানান। শ্রুতি অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।