ওয়াশিংটন: কেন ভারতের নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ (এনএসজি)-এর সদস্যপদের আবেদন মানা হবে, প্রশ্ন তুলেছিল পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য, ভারতকে এই এলিট গোষ্ঠীতে নেওয়া হলে ভারতীয় উপমহাদেশে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা মাথাচাড়া দেবে। কিন্তু কার্যত তাদের আপত্তি উড়িয়ে দিল ওয়াশিংটন। সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের এনএসজি-তে ঢোকার আবেদন ও তাতে পাক আপত্তি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, এর সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতার সম্পর্ক নেই, পরমাণু অস্ত্রেরও নেই। বিষয়টা পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের। আমরা আশা করি, বিষয়টি পাকিস্তান উপলব্ধি করতে পারবে।


 

যদিও ৪৮ সদস্যের এনএসজি-র গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের প্রাক্কালে কিছুটা দ্বিধার সুর শোনা গিয়েছে তাঁর কথায়। টোনার বলেছেন, আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, ২০১৫ সালে ভারত সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা আমেরিকার এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় মাপকাঠি পূরণ করেছে এবং এনএসজি-র সদস্য হতে তৈরি। কিন্তু নতুন সদস্যদের এনএসজি-তে নেওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারে আলোচনার প্রসঙ্গটি এনএসজি-র বর্তমান সদস্যদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়। সুতরাং দেখা যাক, ভোটাভুটি কোন দিকে গড়ায়। আমার ধারণা, ওদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হয়। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে।

এনএসজি-র আসন্ন বৈঠকটি ভারতের সদস্যপদের আবেদন বিচার করতে ডাকা হয়নি বলেও জানিয়েছেন টোনার। বলেছেন, এই বৈঠক কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য নয় বলেই ধারণা আমার। ওরা (পাকিস্তান) ওদের মত প্রকাশ্যে বলেছে এবং যে কোনও দেশই সদস্য হতে চেয়ে আবেদন জানাতে পারে। সর্বসম্মতির ভিত্তিতেই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।