তাঁর অভিযোগ, বিদেশ সফরের পাশাপাশি মিডিয়ায় নিজের, পরিবারের প্রচারেও জলের মতো সরকারি অর্থ ঢেলেছেন শরিফ। জাফরি এও বলেছেন, দেশে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওষুধপত্র নেই, দেশ বিদেশি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী কিনা লন্ডনে চিকিত্সার করাতে যাচ্ছেন সরকারি অর্থে! এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, তিনি দেশে উন্নত মানের হাসপাতাল গড়তে পারেননি, যেখানে নিজের চিকিত্সার জন্য তিনি যেতে পারতেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিলাসবহুল বিদেশ সফরের পিছনে করদাতাদের টাকা ঢালা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে পাক সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট।
সপরিবারে মেডিকেল চেকআপ করাতে লন্ডন গিয়েছেন শরিফ। যদিও পাকিস্তানে এমন জল্পনাও প্রবল যে, ফাঁস হওয়া পানামা পেপার্স নথিতে দুই সন্তানের নাম জড়ানোয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরামর্শ নেওয়াও শরিফের এই যাত্রার আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত, পানামা পেপার্সের নথিতে বলা হয়েছে, তাঁর দুই সন্তান বিদেশে কোম্পানিতে লগ্নি করেছেন।
উল্লেখ্য গত ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জানানো হয়, ৬৩ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে শরিফের বিদেশ সফরে। প্রধানমন্ত্রিত্বের অন্তত প্রতিটি পঞ্ম দিন তিনি কাটিয়েছেন দেশের বাইরে।
পাক বিদেশমন্ত্রক অ্যাসেম্বলিকে জানায়, ২০১৩ থেকে ২০১৬-র মধ্যে ৬৫ টি বিদেশ সফরে মোট ১৮৫ দিন দেশের বাইরে কাটিয়েছেন তিনি। সঙ্গে গিয়েছেন ৬৩১ জন অফিসার।