গত শনিবার রিও ডি জেনেইরোতে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, সেসময় তাকে ধর্ষণ করে ৩০ জনেরও বেশি দুষ্কৃতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এরপরই লাতিন আমেরিকার দেশটিতে তীব্র আলোড়ন পড়ে যায়। রিও ডি জেনেইরো সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখানো হয় বিক্ষোভ। হয় পথ অবরোধও।
বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রত্যেক প্রদেশের নিরাপত্তামন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেন ব্রাজিলের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট মিচেল টেমার।এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, একবিংশ শতকে এ ধরনের বর্বরোচিত অপরাধের ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ মোকাবিলায় একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দেন কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট।
ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের শনাক্ত করতে এবং চিহ্নিতদের ধরার কাজে সহযোগিতার জন্য জনগনের কাছে আর্জি জানিয়েছে ব্রাজিল পুলিশ।
নির্যাতিতা কিশোরী দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ গতকাল জানায়, কিশোরীটিকে প্রায় ৩০ জনেরও বেশি দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে। যদিও দুষ্কৃতীদের সঠিক সংখ্যা সে বলতে পারেনি নির্যাতিতা। ঘটনার পরদিন তার জ্ঞান ফেরে।