নয়াদিল্লি: চিন থেকে খারাপ মানের ওষুধ আমদানি করে আনা হয়েছে এ দেশে।  এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। চিনকে এ কারণে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই) সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক কর্তা। দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক সংগঠন ডিজিসিআইয়ের কর্তাটি বলেছেন, বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) চিন থেকে আমদানি করা হয়। তাছাড়া চিনই সিংহভাগ ওষুধ আমদানির উত্স এ দেশে। প্রায় ৬০ শতাংশ এপিআই আসে চিন থেকে। বাকিটা ইতালি, জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা থেকে।


তিনি বলেন, এও নজরে এসেছে যে, অধিকাংশ খারাপ মানের ওষুধ, সন্দেহজনক লেবেল লাগানো ওষুধ আসছে চিন থেকে। এ ধরনের ওষুধের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা চিনকে নজরদারির মধ্যে রেখেছি।

এ ব্যাপারে ওই কর্তা আরও জানান, অসাধু ব্যবসায়ী-চক্র খারাপ ওষুধ তৈরির সামগ্রী ও উপাদান বৈধ, দায়িত্বপ্রাপ্ত আমদানিকারক সংস্থার লেবেল লাগিয়ে পাচার করছে। এতে বিপন্ন হতে বসেছে রোগীদের সুরক্ষা। অবশ্য পরীক্ষা করে এও দেখা গিয়েছে, ওই ওষুধ, সামগ্রী সেইসব চিনা ওষুধ নির্মাতাদের কাছ থেকে আসছে না, যাদের নাম সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে লেখা রয়েছে।

ঘটনা হল, ভারত অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, অ্যান্টি-হাইপারসেনসিটিভ, ক্যান্সার প্রতিরোধী ও অন্যান্য ওষুধ, যেগুলি নিয়মিত চলে, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে। এ ধরনের ওষুধ আমদানির ওপর নজর রাখতে সরকার আইসগেট নামে একটি ইলেকট্রনিক প্রতিষ্ঠান গড়েছে। বিদেশ থেকে আসা ওষুধের গুণমান, সেগুলি কতটা বৈধ, তা খতিয়ে দেখে আইসগেট। এই কর্মসূচির আওতায় সরকার বিদেশ থেকে নিয়ে আসা ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি সার্বিক পদ্ধতি তৈরি করেছে সরকার।