লন্ডন: কম্পিউটারে আচমকা ঢুকে যাচ্ছে একাধিক ফাইল। তা মুহূর্তে অচল করে দিচ্ছে গোটা সিস্টেম। কম্পিউটার ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসেসের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল হ্যাকার। বহু হাসপাতালের কাজকর্ম কার্যত বন্ধ করে ছেড়েছে তারা। যতক্ষণ না চাহিদামত অর্থ দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ ভাইরাস হামলায় কম্পিউটার হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না।


যে সফটওয়্যার দিয়ে এই হামলা চালাচ্ছে হ্যাকারদল, তার নাম রাখা হয়েছে র‍্যানসমওয়্যার। টাকা পেলে হ্যাকাররা কম্পিউটার খুলে দিচ্ছে, তাই এই নাম। এই সফটওয়্যার হামলায় ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক ও স্পেনের টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা টেলিফোনিকা। ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু অংশে মূলত এই হ্যাকার হামলা ঘটেছে। হামলা চলেছে আমেরিকাতেও।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক হামলা। বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা এতে আক্রান্ত হয়েছে।

সফটওয়্যারের যে দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এভাবে হ্যাকারচক্র একের পর এক দেশের কম্পিউটার অচল করে দিচ্ছে, তা ব্যবহার করত আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। চরবৃত্তির কাজে এভাবে অন্য দেশ বা সংস্থার কম্পিউটার হ্যাক করত তারা। একইভাবে এখন সেই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে হ্যাকারদল। এদের পিছনে কার হাত রয়েছে, তা জানা যায়নি এখনও।

এর আগেও হ্যাকারদলের হামলার কথা বারবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু এভাবে পর পর কয়েকটি দেশ ও মহাদেশের কম্পিউটার সিস্টেম সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়ার কথা শোনা যায়নি কখনও। জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বের ৭৪টি দেশে ৪৫,০০০-এর বেশি হামলা চলেছে। আরও উদ্বেগের কথা হল, সিস্টেম চালু করতে রীতিমত অর্থ দাবি করছে এরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর পর দুষ্কৃতীরাও এভাবে সাইবার ওয়ার্ল্ডে হামলা চালিয়ে অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটাবে।