কংগ্রেস সভাপতি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে রয়েছেন। এটাই তাঁর প্রথম সেদেশ সফর। সফরের দ্বিতীয় দিনে ভারত বিবিধ ভাবনা, মতাদর্শ গ্রহণ করতে পারে, মানুষের ওপর কোনও একটি ভাবনাকে চাপিয়ে দেয় না বলেও দাবি করেন তিনি।
রাহুল বলেন, বিবিধ ভাবনাচিন্তা, মতাদর্শ ভারতে এসেছে। ভারত সেগুলিকে যেমন প্রভাবিত করেছে, তেমনই সেগুলি দ্বারা প্রভাবিতও হয়েছে। অন্যের মত শোনাটাও ভারতের একটি ধারণা। ২০১৯ এর নির্বাচনের আগে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছেও পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসাবে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, সহনশীলতা রয়েছে আমাদের সংস্কৃতির মধ্যেই। গত সাড়ে ৪ বছরে দেশে যা চলছে, সেটা দেখা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর অসহনশীলতা, ক্রোধ, বিভাজন বাড়ছে। যারা দেশ চালাচ্ছে, তাদের মানসিকতা থেকেই এর সৃষ্টি। কিন্তু নেতৃত্ব সহনশীল হলে তারা সেভাবেই চলবে, সেই বার্তাই ছড়াবে। রাহুল বলেন, ভারত সাধারণ ভাবে সহনশীল, আমরা শুনতেই পছন্দ করি, সেই সংস্কৃতিতেই ফেরা উচিত। ভারতকে আমি শুধুমাত্র তার সীমানার মধ্যে বেঁধে ফেলে দেখতে চাই না। আমরা এমন ভারত চাই না, যেখানে সাংবাদিকরা গুলি খায়, যেখানে নিজের মত প্রকাশের জন্য লোকে মার খায়। এটাই আমরা বদলাতে চাই, আসন্ন নির্বাচনে সেটাই চ্যালেঞ্জ।
ক্ষুধার মতো আরও বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বলে ভারতে অগ্রাধিকারের তালিকায় এক নম্বরে রাখা কঠিন বলেও অভিমত জানান তিনি। পাশাপাশি বলেন, ভারতের কৃষি ব্যবস্থার বৈপ্লবিক রূপান্তর চাই, কারণ তার বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যোগ নেই।