লন্ডন: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। হামলার পরে লন্ডন ও বার্মিংহামে অভিযান চালিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিন আইসিস-এর নিজস্ব সংবাদসংস্থা ‘আমাক’-এ হামলার দায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, খলিফতের এক সেনা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই হামলা চালিয়েছে। আরও বলা হয়েছে, জোট দেশগুলিকে টার্গেট করার প্রতিবাদেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
গতকালের হামলায় আততায়ী সহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪০জন। সন্দেহভাজন জঙ্গি আইএস ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ছিল বলে জানতে পেরেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। এদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে (হাউস অফ কমনস) ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হামলা রুখে দেওয়ার জন্য স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশকর্মীদের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বলেছেন, আমরা ভীত নই। সন্ত্রাস হামলা চালিয়ে গণতন্ত্রকে চুপ করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, তা ব্যর্থ হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে এদিন এক-মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় পার্লামেন্টে।
তিনি যোগ করেন, গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেছে, আততায়ী ব্রিটিশ নাগরিক। কয়েক বছর আগেই তাকে সন্ত্রাস যোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানান, সম্ভবত আততায়ী একলাই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে, একইসঙ্গ তিনি আশ্বাস দেন, ফের হামলা হওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তিনি জানান, হামলার পর মোট ৮ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে লন্ডনের ঐতিহ্যশালী ও ব্যস্ত ওয়েস্টমিনিস্টার সেতুর ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে একটি ধূসর রঙের গাড়ি চালিয়ে আততায়ী নিরীহ মানুষকে পিষে দেয়। তাতে ২ জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হন।
তারপর হাউস অফ কমন্সের পাশে লোহার রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়িটি। মুহূর্তের মধ্যে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে গাড়ির চালক। ঢোকার চেষ্টা করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। সে সময় এক পুলিশ অফিসারকে ছোরা মারে সে। এরপরেই অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা তার ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এক বার্তায় তিনি বলেন, কালকের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের সঙ্গে আমার সমবেদনা, প্রার্থনা।