নয়াদিল্লি: হস্টেলে কোন পোশাক চলবে, কোনটা চলবে না, রাতে কটার মধ্যে হস্টেলে ঢুকতে হবে, কখন বেরনো যাবে, এই নিষেধাজ্ঞা সে ব্যাপারে নয়। কিন্তু ইসলামাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির মহিলা আবাসিকদের জন্য জারি হওয়া এক সার্কুলারে চোখ কপালে উঠেছে অনেকের। সার্কুলারের নির্দেশ, হস্টেলে এক বিছানা শেয়ার করতে পারবে না মেয়েরা, তা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। এক বিছানা থেকে আরেকটির মধ্যে অন্তত ২ ফুটের ব্যবধান রাখতে হবে। যদি দেখা যায়, নির্দেশ না মেনে কোনও মেয়ে সহপাঠীর বিছানায় শুয়েছে বা দুজনে একই চাদর গায়ে চড়িয়ে বসেছে, তার শাস্তি চড়া আর্থিক জরিমানা।
এহেন নির্দেশে সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, ঠাট্টা-তামাশা। কেন এই নির্দেশ, তার কারণ অনুসন্ধান চলছে। তবে অনেকেই বলছেন, হতে পারে রক্ষণশীল সমাজে সমকামিতা-আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই শয্যা ভাগ করলে সমকামী হওয়ার প্রবণতা ছড়াতে পারে ধরে নিয়েই এমন পদক্ষেপ!
করাচির জনৈক কমিক শিল্পী শেহজাদ গিয়াস শেখ ওই সার্কুলারের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মজার মন্তব্য করেছেন। লিখেছেন, একই বিছানা ভাগ করলে যদি যৌন পছন্দ, লিঙ্গ পরিচয় বদলে যেত, তবে তো পাকিস্তানের প্রত্যেক গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষের পুরুষ বা মহিলা সমকামী হয়ে যাওয়ার কথা। এবার কি তবে মাঝরাতে মেয়েদের হস্টেলের দরজা ভেঙে ঢুকে লাঠি হাতে পুলিশ মেপে দেখবে, বিছানার মাঝখানে কতটা ফাঁক আছে!