তেল আভিভ ( Tel Aviv ): মাতৃভূমি দখলের যুদ্ধ না অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই? ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া ইজ়রায়েল আর গাজার আকাশ দেখে এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন হাজার হাজার মানুষ। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই আরও একবার হামাসের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন নেতানিয়াহু। বললেন, এ লড়াই অন্ধকারের শক্তির (“forces of darkness”) সঙ্গে। হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধকে আলোর শক্তির সঙ্গে অন্ধকারের লড়াই বলে ঘোষণা করলেন তিনি। Times of Israel এ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী (Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu ) হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের লড়াইকে মানবতার প্রতিনিধিত্বকারী আলোর শক্তির সঙ্গে পশুত্বের প্রতীক অন্ধকারের শক্তির মধ্যে লড়াই বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের এই যুদ্ধে জয় নিশ্চিত করতে হবে। ইজ়রায়েলের পার্লামেন্টে (Israel’s Parliament Knesset) শীতকালীন অধিবেশনের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "৭৫ বছর অতিবাহিত হলেও স্বাধীনতার যুদ্ধ শেষ হয়নি।"
নাৎসি জার্মানির সঙ্গে হামাসের তুলনা টেনে এই সংঘাতকে আলোর শক্তি এবং অন্ধকারের শক্তির মধ্যে, মানবতা এবং পশুত্বের মধ্যে যুদ্ধ বলে অভিহিত করেন নেতানিয়াহু। তিনি আরও বলেন, ইজ়রায়েলের লক্ষ্যই হল হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনা, আর তাদের ক্ষমতা থেকে সমূলে উৎপাটিত করা। ইতিমধ্যেই হামাস-হানা প্রাণ গিয়েছে ১৩০০ ইজ়রায়েলির। আহত প্রায় ৪ হাজার মানুষ। ৭ অক্টোবর অতর্কিত হামলার পরে অনেক ইজরায়েলি নাগরিককে অপহরণ করে হামাস জঙ্গিরা! এদিকে, ইজ়রায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বারবার বলে এসেছে, হামাস একটি গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন, আমরা হামাসকে নির্মূল করবই।
এদিকে, ইজ়রায়েলের প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী (Israel’s Minister of Diaspora Affairs) আমিচাই চিকলি হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতীয় নেতৃত্ব এবং ভারতের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। “আমি ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, ভারতের জনগণ এই নৃশংস জিহাদি বর্বর ইসলামীদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য। এটা শুধু আমাদের যুদ্ধ নয়, এটা আপনাদেরও যুদ্ধ এবং আপনাদের সমর্থনে আমরা একসাথে জয়ী হব,” বলেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ দিনের যুদ্ধে গাজা ভূখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২ হাজার ৮০০ জন প্যালেস্তিনীয়র। আহত ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও ৫৭ জন মারা গেছেন। আহতের সংখ্যা ১২০০। যে কোনও মুহূর্তে ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটে যেতে পারে! এই ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন সাধারণ মানুষ!