কলকাতা: গাজায় (Gaza) হাসপাতালে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে বারবার সমালোচিত হয়েছে ইজরায়েল (Israel)। পাল্টা ইজরায়েলের দাবি ছিল এই হাসপাতালেই লুকিয়ে হামাসের যোদ্ধারা, রয়েছে অস্ত্রের ভান্ডারও। এবার সেই বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে এই ভিডিও প্রকাশ করল ইজরায়েলের সেনা (Israel Defence Force)। ওই ভিডিও ফুটেজ IDF-এর X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে ইজরায়েলের সেনা দাবি করেছে গাজার Al-Shifa হাসপাতালের MRI বিল্ডিং নিজেদের অপারেশন হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করেছে হামাস (Hamas)। একাধিক উন্নত যন্ত্র ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।


হামাসের ভয়াবহ সন্ত্রাস, ইজরায়েলের নিরীগ নাগরিকদের উপর হামলার জবাব দিতে শুরু থেকেই লাগাতার পাল্টা হামলার রাস্তায় গিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। এখনও সেই যুদ্ধ চলছে। গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। ওই যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বারবার কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছে ইজরায়েল। এই যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়া আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের নিশানায় এসেছে ইজরায়েল। সন্ত্রাসদমনের নামে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। গাজায় হাসপাতালের উপরে ইজরায়েল মিসাইল হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। উল্টোদিকে ইজরায়েলের দাবি, ওই হাসপাতালের নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে হামলা চালায় হামাস। সেখানেই লুকিয়ে থাকে তারা। প্যালেস্তাইনের সাধারণ নাগরিকদের সামনে রেখে হামাস লড়ছে বলেও অভিযোগ করেছে ইজরায়েল সেনা।     


আল-শিফা হাসপাতালে টানা তল্লাশি চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। তাদের দাবি, এটাই হামাসের কমান্ড সেন্টার। পাল্টা হামাসের দাবি ছিল, হাসপাতালে হামলা করে নিরীহদের মারছে ইজরায়েলের সেনা। IDF বুলডোজার নিয়ে হাসপাতালে একটি অংশ ভেঙে ফেলেছে বলে দাবি।  


 






ইজরায়েলের সেনার তরফে যে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রয়েছেন ইজরায়েলের সেনার মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস। ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, তিনি হাসপাতালে ঢুকছেন এবং অস্ত্রঘাঁটি দেখাচ্ছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের MRI -এর জায়গায় ব্যাগে করে AK-47, গুলি, গ্রেনেড রাখা।


ইজরায়েলের সেনার দাবি যাবতীয় ফুটেজ আনএডিটেড অবস্থায় প্রকাশিত হয়েছে।  


এর আগেও এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের গায়ে আরবিতে লেখা 'Operation Al-Aqsa Flood'-যা ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার অন্যতম নাম। যদিও একাধিক ফ্যাক্ট চেকার এই দাবি নস্যাৎ করেছেন, তাদের দাবি, ওই লেখা পরে লিখে ভিডিও তোলা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: কাঠের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ! কোন গাছের কাঠ পছন্দ বিজ্ঞানীদের?