ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথের পর তাঁর প্রথম কাজ হবে আমেরিকা থেকে ৩০ লক্ষ বেআইনি অভিবাসীকে তাড়ানো। বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দরকারে তাদের জেলে পাঠানোরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।


ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে সব অভিবাসী অপরাধী, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের পুরনো রেকর্ড রয়েছে, যারা ড্রাগের কারবারী, গুন্ডা- তাদেরই দেশছাড়া করবেন তিনি। সংখ্যাটা সম্ভবত ২০লাখ, ৩০-ও হতে পারে। যদিও ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির আর এক শীর্ষ নেতা পল রায়ান জানিয়েছেন, বেআইনি অভিবাসীদের এখনই ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা তাঁদের নেই। এ নিয়ে ভাবছেন না খোদ ট্রাম্পও। তবে মার্কিন সীমান্ত সুরক্ষিত করার কথা অবশ্যই ভাবছেন তাঁরা। কারণ, অভিবাসন সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর আগে দেখতে হবে, কারা মূলত আমেরিকায় আসছে, আসছে কোন কোন দেশ থেকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারের সময় ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যে সব দেশ আমেরিকায় বেআইনিভাবে থাকতে আসা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হবে না, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সে সব দেশের নাগরিকদের মার্কিন ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেবেন তিনি।

আমেরিকায় এই মুহূর্তে কাগজপত্রধারী অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক লক্ষ ইন্দো-মার্কিন নাগরিক। ট্রাম্প জানিয়েছেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করার পর বেআইনি অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। মেক্সিকো থেকে প্রতি বছর আমেরিকায় বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করেন হাজার হাজার মানুষ। তাই ভোটপ্রচারে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচিল তোলার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এখন জানিয়েছেন, আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে আপত্তি না থাকলেও কিছু জায়গায় পাঁচিলই তাঁর বেশি পছন্দ।