লন্ডন: জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার জন্য লজ্জা, দুঃখ প্রকাশ করলেন টেরেসা মে। হাউস অব কমন্সে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ওই ভয়াবহ নারকীয়তার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চাননি। তবে অবিভক্ত পঞ্জাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে স্বাধীনতার দাবি করা মানুষের জমায়েতে গুলিচালনায় অসংখ্য মৃত্যুকে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের ইতিহাসে লজ্জা’, ‘কলঙ্কের দাগ’ বলে স্বীকার করেছেন। ওই নজিরবিহীন নারকীয় ঘটনার শতবর্ষ পূর্তিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জালিয়ানওয়ালাবাগের গুলিবর্ষণ নিয়ে আগের আলোচনা, বিতর্কের সময় বিভিন্ন দলের এমপি-রা দাবি করেছিলেন, আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিক সরকার। কিন্তু আজ হাউস অব কমন্সে সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আগেই ব্রিটিশ সরকার যে ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে, তারই পুনরাবৃ্ত্তি করেন।
বিবৃতি দিয়ে মে বলেন, ১৯১৯-এ জালিয়ানওয়ালাবাগে ঘটে যাওয়া ট্র্যাজেডি ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের ইতিহাসের এক কলঙ্কের দাগ। মাননীয়া রানি এলিজাবেথ (দ্বিতীয়) ১৯৯৭-এ জালিয়ানওয়ালাবাগ দর্শনের আগে যেমনটা বলেছিলেন, এটা ভারতের সঙ্গে আমাদের অতীত ইতিহাসের অস্বস্তিকর পর্বের একটি উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, যা ঘটেছে এবং তার যন্ত্রণা, বেদনার জন্য আমরা গভীর শোক জানাই। আজ একথা বলতে আমার ভাল লাগছে যে, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কটা সহযোগিতা, বোঝাপড়া, সমৃদ্ধি, সুরক্ষার। ব্রিটেনের ভারতীয় সম্প্রদায় ব্রিটিশ সমাজে বিরাট অবদান রেখেছে। আমি নিশ্চিত গোটা সভা দেখতে আগ্রহী যে, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের ক্রমাগত সমৃদ্ধি হবে।
মে-র বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন দাবি করেন, ওই নিধনযজ্ঞে প্রাণ হারানো লোকজনের, যা ঘটেছে, সেজন্য স্পষ্ট, দ্বিধাহীন ক্ষমা প্রাপ্য।