টোকিও : বিয়ে বিমুখ নতুন প্রজন্ম। সন্তানের বাবা-মা হয়ে থিতু হয়ে সংসারে মন দেওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। নানা কারণে জাপানের জনসংখ্যা ক্রমেই নিম্নমুখী। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে এই ট্রেন্ড। সরকারের কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে এই প্রবণতা। রাষ্ট্রের তরফ থেকে নানা উৎসাদপ্রদানকারী উদ্যোগ নিয়ে কাজে আসছে না তেমন। তাই এবার সরকারি ডেটিং অ্যাপ চালু করল জাপান। ২০২৪ সালের হিসেব অনুসারে ১২ কোটি ৩৯ লক্ষ জনসংখ্যার দেশটিতে গত বছর মাত্র ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭ শিশুর জন্ম হয়েছে গত ১ বছরে। নারীদের প্রজনন ক্ষমতাও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তাই সরকার চাইছে, এভাবে ডেটিং অ্যাপ করে যদি নারী - পুরুষের মধ্যে বন্ধুতা ও ভালবাসার একটু উৎসাহ জোগানো যায় !
সরকারের উদ্যোগে ডেটিং অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে জাপান সরকার। নিঃসন্দেহে এই ভাবনা নজর কেড়েছ সারা বিশ্বের। অ্যাপটি এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি যদিও। প্রাথমিক পর্যায়ে আছে পুরো বিষয়টি। রয়েছে এবং চলতি বছরের শেষের দিকে, পুরোপুরিভাবে কার্যকর হবে। অ্যাপটিতে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এটি এই অ্যাপকে ব্যবহার করা হোক। এই অ্যাপের পরিষেবাপ্রদান করার জন্য AI এর ব্যবহার করা হচ্ছে। যাঁরা অ্যাকাউন্ট করবেন, তাঁদের যোগ্যতা সংষ্কারের নিরিখে সঙ্গী নির্বাচন করে দেওয়া হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে। অ্যাপে লগ ইন করতে গেলে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অবিবাহিত হতে হবে। তাছাড়া টোকিওরই বাসিন্দা, বা কর্মসূত্রে টোকিওর লোক হতে হবে। এখন দেখার সরকারি ডেটিং অ্যাপে ভরসা রেখে জাপানের তরুণ - তরুণীরা বিয়ের পিঁড়িতে বলতে চান কি না।
আসলে যে কোনও দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তরুণ প্রজন্মের উপর । এবার কোনও দেশের জনসংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাওয়ার অর্থ একটা সময় তরুণ ছেলে-মেয়ের সংখ্যা কমে যাবে সে-দেশে। তখন কাদের উপর নির্ভর করে এগোবে দেশ? আরও চিন্তার বিষয় হল এই দেশে বছরই মৃত্যুহার জন্মের হারের থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। এর আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির স্বার্থে নানা সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকী কোনও কোনও জায়গায় দম্পতিদেরউৎসাহ ভাতাও দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
দুর্যোগের আঁধার উত্তরে, তিস্তা নদীতে হলুদ সতর্কতা, বন্ধ কালিম্পংয়ে জাতীয় সড়ক