লন্ডন: ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অনুপ্রবেশ!


ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র সরকারি বাসভবনে সম্প্রতি একটি বিরল অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। জানা যায়, এই অনুপ্রবেশকারী কোনও মানুষ নয়। তা ব্রিটেনের বিদেশসচিব বরিস জনসনের দফতরের পোষ্য মার্জার।

নাম পামারস্টোন। গায়ের রং সাদা-কালো। চলতি বছরের গোড়ায় পামারস্টোনকে বিদেশ দফতরের ‘চিফ মাউসার’ অর্থাৎ প্রধান মুষিক-শিকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

এমনই একটি ‘চিফ মাউসার’ ১০ ডাউনিং স্ট্রিটেও রয়েছে। তার নাম ল্যারি। ২০১১ সাল থেকেই সে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ল্যারি কিছুদিনের জন্য বাইরে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চুপিসাড়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হানা দেয় পামারস্টোন।

লক্ষ্য অবশ্যই, ল্যারির অনুপস্থিতিতে তার জায়গা দখল করা। কিন্তু, নিরাপত্তাবাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি সে। পামারস্টোনকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেওয়া হয়।

খবরে প্রকাশ, এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে পামারস্টোন। এর পরও সেখান থেকে না নড়ে কার্যত নিরাপত্তারক্ষীদের দিকেই হুঙ্কার দিতে থাকে সে। এমনকী, এক নিরাপত্তারক্ষীকে আক্রমণ করেও বসে পামারস্টোন।

১০ ডাউনিং স্ট্রেট সূত্রে খবর, অতীতে বহুবার ল্যারি ও পামারস্টোনের মধ্যে মারত্মক ঝগড়া হয়েছে। শোনা যায়, দুজনে কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না, এতটাই এই দুই হুলোর শত্রুতা।

একবার, কামড়ে ল্যারিকে প্রায় খোঁড়া করে দিয়েছিল পামারস্টোন। ফলে, তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। তবে, ঘনিষ্ঠদের মতে, ল্যারির বদমেজাজি এর জন্য অনেকাংশেই দায়ী। যতই হোক, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাসিন্দা বলে কথা!

এর আগে, প্রতিবেশী ১১ নম্বর বাড়ির পোষ্য বিড়াল ফ্রেয়ার সঙ্গেও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে ল্যারি। এমনকী, সেই লড়াই থামাতে পুলিশ ডাকতে হয়েছিল! তখন, ফ্রেয়াকে শহরের বাইরে ছেড়ে আসা হয়।

পামারস্টোনের অনুপ্রবেশের সময় ল্যারি বাড়িতে না থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্টিটের কর্মীরা। তাঁদের মতে, যদি সেসময় ল্যারি থাকত, তাহলে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বোধহয় রক্তক্ষয়ী লড়াই বেঁধে যেত। আর এবার ফের পুলিশের দ্বারস্থ হতে হত।