ইসলামাবাদ: কিছুতেই কাশ্মীর ইস্যু ছাড়ছে না পাকিস্তান। পাকিস্তান পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে প্রস্তাব পাস করে কাশ্মীর তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, ভারতের এই অবস্থান খারিজ করে দেওয়া হল শুক্রবার। পাকিস্তানের দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের এজেন্ডায় কাশ্মীর একটি ‘বিতর্কিত ভূখণ্ড’। সুতরাং কাশ্মীর ভারতের, এই বক্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই।

সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত এই প্রস্তাবে কাশ্মীর সহ ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বিরোধ মেটাতে ‘ফলদায়ক’ আলোচনার কথাও বলা হয়েছে। পাক পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিক মহলকেও আবেদন করেছে, কাশ্মীরে ‘ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ চলছে। সে ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।

গত বুধবার থেকেই পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভারতের সঙ্গে চলতি সংঘাত, বিরোধ নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানে কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পেশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রীর  বিদেশ সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ। তাতে আবেদন করা হয়, কাশ্মীরে ‘ভারতের নৃশংসতা’ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক দুনিয়া তাদের ভূমিকা পালন করুক। পাশাপাশি কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতা, মানবাধিকার কর্মীদের আটক, গৃহবন্দি করে রাখা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁদের ছেড়ে দিতে আবেদন করা হয় ভারত সরকারকে।

রেডিও পাকিস্তান-এর খবর, ভারতীয় বাহিনীকে ‘রেহাই, ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য চালু বিভিন্ন দানবীয় আইনের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে প্রস্তাবে’। ভারত সরকারকেও অবিলম্বে লোকজনকে ‘ভীত-সন্ত্রস্ত করা’ বন্ধ করে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংক্রান্ত আইন মেনে চলার ডাক দিয়েছে পাকিস্তান। নিন্দা করা হয়েছে ভারতের ক্রমাগত ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের’ও।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরের নিহত হিজবুল সন্ত্রাসবাদী বুরহান ওয়ানিকে ‘কাশ্মীরের সাহসী পুত্র’ বলে সার্টিফিকেট দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন। বলেন, চাষের জমিতে ট্যাঙ্ক নামিয়ে গরিবি হটানো যায় না।