বেজিং: কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত প্রস্তাব রূপায়ণ করতে হবে, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক অর্গানাইজেশনের (ওআইসি) এহেন দাবি খারিজ করে চিন জানিয়ে দিল, ভারত ও পাকিস্তানকে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে।

৫৭ সদস্যের ওআইসি-তে আছে পাকিস্তান। তাদের সুরেই দুদিন আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠকে বসে ওআইসি রুটিনমাফিক কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব পাশ করে, যাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব কার্যকর করার দাবি করা হয়েছে।
চিনের পরম মিত্র পাকিস্তান। কিন্তু সেই চিন কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান, ওআইসি-র দাবিতে সায় দিল না।

ওআইসি-র দাবি প্রসঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেন, চিন সংশ্লিষ্ট খবরটি দেখেছে। কাশ্মীর ইস্যুতে চিনের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। ইতিহাসের ধারায় অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে কাশ্মীর। চিনের আশা, ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে আলোচনা, যোগাযোগের মাত্রা বাড়াতে পারে, বিবাদ ও সমস্যাগুলি সঠিক ভাবে মোকাবিলা করে একসঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষিত রাখতে পারে।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসিও রাষ্ট্রপুঞ্জে দাবি করেছেন, কাশ্মীর প্রসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে হবে, পাশাপাশি কাশ্মীরে বিশেষ দূত নিয়োগ করা হোক। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই চিন কাশ্মীর ইস্যুতে এই অবস্থান জানিয়ে দিল।