লাহোর: লাহোরের কাসুরে ধর্ষণের পর খুন হওয়া সাত বছরের মেয়ের বাবা লাহোর হাইকোর্টে আবেদন জানালেন, পাশবিক অত্যাচার করে মেয়েকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত সিরিয়াল কিলারকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। লাহোর থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে কাসুরে শিশুকন্যার ধর্ষণ, খুনের ঘটনাটি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ২৩ বছর বয়সি ইমরান আলিকে এজন্য দোষী ঘোষিত করে মৃত্যুদণ্ড দেয় লাহোরের সন্ত্রাসবাদ দমন আদালত। পাকিস্তানের ইতিহাসে মাত্র চারদিনে বিচার শেষ করে দোষীর সাজা ঘোষণার এটিই প্রথম নজির। ইমরানের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাবাস, সাত বছরের জেলও হয়।
দেশের সন্ত্রাস দমন আইন, ১৯৯৭ এর ২২ অনুচ্ছেদে দোষীকে জনসমক্ষে দোষীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া হয়েছে বলে পিটিশনে দাবি করেছেন মেয়েটির বাবা। তিনি বলেছেন, এই আইনে কোনও সাজা কীভাবে, কোথায় কার্যকর হবে, তা সরকার নির্দিষ্ট করে দিতে পারে যাতে অপরাধ ঠেকানো যায়। তাই আদালত সরকারকে এটা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিক যে, দোষীকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে।
লাহোর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে ইমরানের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। সন্ত্রাস দমন আদালত রায় দেওয়ার সময় বলেছিল, দোষী যে অপরাধ করেছে, তা চরম বীভত্স ও বর্বরোচিত। সে নাবালিকাকে ছল করে অপহরণই শুধু করেনি, তাকে ধর্ষণ, খুন করে তার সঙ্গে নারকীয় আচরণও করেছে।