সিঙ্গাপুর: নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিলে তবেই তিনি ‘সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ’-এর পথে হাঁটবেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনটাই জানালেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।


কিছুদিন আগেও মনে হচ্ছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির হিসেবনিকেশ কষা দুষ্কর। সব চিন্তাভাবনা উল্টে দিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘক্ষণ হল তাঁদের মধ্যে কথা, প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে।


সিঙ্গাপুরের ক্যাপেলা হোটেলে দু’দফায় হয় এই বৈঠক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর বিশ্বাস, আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সুসম্পর্ক হবে। জবাবে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের এই প্রক্রিয়া সহজ ছিল না। তারপরেও সমস্ত সংকট কাটিয়ে যে তাঁরা আলোচনায় বসেছেন, তাতে তিনি খুশি। তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে। প্রথমে বৈঠক হয় ট্রাম্প-কিমের মধ্যে, তারপর আলোচনায় বসেন দু’দেশের কূটনীতিকরা।



উত্তর কোরিয়ার একের পর এক পরমাণু বোমা পরীক্ষা নিয়ে পশ্চিমী বিশ্বের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন চাপানউতোর চলেছে। আমেরিকায় পরমাণু হামলার হুমকি দেন কিম, পাল্টা জবাব দেন ট্রাম্পও। এই প্রথম আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠকে বসেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়কের সঙ্গে।


উনের সঙ্গে বৈঠককে সৎ, সরাসরি ও ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, গতকাল সংঘাত ছিল বলেই যে আগামীকাল যুদ্ধ হবে, এমন ধারনা ঠিক নয়। তিনি জানান, কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে অঙ্গীকার করেছেন উন। পাশাপাশি, তিনি ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন পরীক্ষাস্থল ধ্বংস করতেও রাজি হয়েছেন। অন্যদিকে, পিয়ংইয়ংয়ের তরফে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন ট্রাম্প।


গোটা বিশ্বের নজর ছিল এই বৈঠকের দিকে। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেন লুং জানিয়েছেন, ট্রাম্প-কিম বৈঠকের জন্য প্রায় ২০ মিলিয়ন সিঙ্গাপুরী ডলার খরচ করেছেন তাঁরা। বৈঠকের জন্য রবিবার সিঙ্গাপুর আসেন ট্রাম্প ও কিম। বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নতুন ইতিহাস শুরু করতে চায় আমেরিকা।