বিক্ষোভকারীদের এই বিক্ষোভের নেপথ্যে রয়েছে অনেকগুলি ঘটনা। পাক অধিকৃত ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রায়শই শিকার হতে হয় অত্যাচারের। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ভুয়ো এনকাউন্টার এসব তো রয়েছেই, সঙ্গে যে সমস্ত নেতারা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকার বিপক্ষে, তাঁদের ওপর চলে নৃশংস নির্যাতন।
অল পার্টিজ ন্যাশানাল অ্যালায়েন্স(এপিএনএ)-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০০-র বেশি স্বাধীনতাপন্থী রাজনৈতিক সক্রিয়কর্মীকে গত দুবছরে প্রাণে মেরে ফেলেছে আইএসআই। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অন্যতম কাশ্মীরি জাতীয়তাবাদী নেতা এবং এপিএনএ-র চেয়ারম্যান আরিফ শাহিদ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য তিনি সবসময় লড়াই করে গেছেন। পাক সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁকেও নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয়। ২০১৩-এ রাওয়লপিন্ডিতে নিজের বাড়ির বাইরে খুন করা হয় তাঁকে। তাঁর মৃত্যুর কোনও তদন্তও হয়নি। শাহিদের মৃত্যুর স্বাধীন তদন্তেরও দাবি করেছে কোটলির বিক্ষোভকারীরা।
ইউনাইটেড কাশ্মীর পিওপলস্ ন্যাশনাল পার্টির মুখপাত্র নাসির খান বলেন, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য পাকিস্তানের বিন্দুমাত্র অনুভূতি নেই। ধর্মের নামে কৌশলী খেলা খেলে চলেছে তারা।