কিয়েভ: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। রুশ সেনাবাহিনী ক্রমশই দখল নিয়েছে সে দেশের। কিন্তু ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন যে ইউক্রেনের সেনা বাহিনীই জয়লাভ করবে। নিজের ট্যুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ''কিভে কার্ফু শুরু প্রায়। ইউক্রেনের সেনারাই জয় হাসিল করবে।''
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে রাজনৈতির সমর্থন চেয়েছিলেন। তবে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই প্রস্তাবনা পেশের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনোটিতেই ভোট দেয়নি ভারত। এরপরই রাজনৈতিক সমর্থন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি। যদিও রাশিয়া ভারতের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়া 'অবিলম্বে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার শক্তির ব্যবহার বন্ধ করুক' এবং 'অবিলম্বে, সম্পূর্ণরূপে ও নিঃশর্তভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে তাঁদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করে নিক'।
জাতিসংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত টি.এস. তিরুমূর্তি বলেন, "আমাদের অবশ্যই কূটনীতিক পথ অবলম্বন করতে হবে। এই কারণেই ভারত এ প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত আছে।"
একটি মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার তরফে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলেনস্কিকে (Russia Ukraine War)। কিন্তু ফোনে জেলেনস্কি তাঁদের বলেন, ‘‘আমার লড়াই এখানেই। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রের প্রয়োজন। পালানোর গাড়ি বা বিমানের নয়।’’
ইউক্রেনের সরকার ফেলে দেওয়াই যে তাঁদের লক্ষ্য, ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সেনাবাহিনী ঢুকে পড়েছে পড়শি দেশের রাজধানী কিভে। তাতেই আমেরিকার তরফে জেলেনস্কিকে দেশ ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। পরিবর্তে শনিবার সকালে যখন মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে অনতিদূরে, গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে চারিদিক, সেই সময় রাস্তায় নেমে আসেন জেলেনস্কি।
আরো পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধ-উদ্বেগের মাঝেই ২১৯ ভারতীয় পড়ুয়াকে নিয়ে মুম্বই পৌঁছল বিমা