বেজিং: আগামী শুক্রবার ভারত-চিন সীমান্ত আলোচনা। তার আগে ফের চিনের মুখে ডোকলাম প্রসঙ্গ। চিন বলেছেন, ডোকলামে অচলাবস্থা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বড়সড় পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিল। ভবিষ্যতে এই ধরনের সংঘাতের পুনরাবৃত্তি এড়াতে ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
সরকারি সূত্রে খবর, আগামী ২২ ডিসেম্বর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনের স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জেইচির মধ্যে দুদেশের ২০ তম রাউন্ডের সীমান্ত আলোচনা দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।
সিকিম সেক্টরের ডোকলামে ৭৩ দিনের অচলাবস্থার পর এই আলোচনা উভয় দেশের কাছেই তাত্পর্য্যপূর্ণ।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চিনইয়িং বলেছেন, বিশেষ প্রতিনিধিদের এই আলোচনা সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য উচ্চপর্যায়ের চ্যানেলই নয়, সেইসঙ্গে তা কৌশলগত যোগাযোগের মঞ্চও। এই বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও মত বিনিময় হয়।
২০১৭-য় দুই দেশের সম্পর্ক সাধারণভাবে ভালই ছিল। কিন্তু ডোকলামের ঘটনা দুই দেশকেই পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিল। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে উভয় দেশেরই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা উচিত।
হুয়া আরও বলেছেন, সীমান্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে ও ভারত-চিন সম্পর্কের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক বিধি মেনে চলা উচিত দুই পক্ষের। এভাবেই দুদেশের স্বার্থ সবচেয়ে ভালোভাবে রক্ষিত হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সীমান্ত আলোচনায় ডোকলাম অচলাবস্থার প্রভাব পড়বে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে হুয়া বলেছেন, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি-র সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফরেও প্রসঙ্গটি উঠেছিল। রাশিয়া, চিন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে এসেছিলেন ওয়াং। হুয়া বলেছেন, ওই বৈঠকের অবকাশে চিনের বিদেশমন্ত্রী ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাষ্ট্রপতি রামননাথ কোবিন্দের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন। স্বরাজের সঙ্গে ওয়াংয়ের বৈঠকে ডোকলাম প্রসঙ্গ উঠেছিল বলে জানিয়েছেন চিনের বিদেশ দফতরের মুফপাত্র।