ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গে তেমন প্রভাব না পড়লেও, বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভয়ঙ্কর চেহারা নিল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৩ জন। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত। ১৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।


বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নোয়াখালি, ভোলা, লক্ষ্মীপুর সহ আটটি জেলায় ‘ফণী’-র প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নোয়াখালিতে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। ওই পরিবারেরই বেশ কয়েকজন জখম। এই জেলার কয়েকশো বাড়ি ভেঙে পড়েছে। লক্ষ্মীপুরেও বাড়ি ভেঙে পড়ে আনোয়ারা বেগম নামে ৭০ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টিও চলছে। ‘ফণী’-র প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার ফলে অন্তত ১২টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি উড়ান বিলম্বিত।