সৌমিক সাহা, লুৎস্কে : যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝে এমন একটা শহর, যেখানে ধ্বংসের চিহ্নমাত্র নেই! মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাড়িঘর! কিন্তু শহরের মানুষজন যেন হঠাৎ করে উবে গেছেন! ইউক্রেনের (Ukraine) ঐতিহাসিক শহর লুৎস্কে পৌঁছে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে। রাশিয়া ৩ দফায় হামলা চালিয়েছিল এই শহরে। তবে টার্গেট ছিল অন্যকিছু।


টার্গেট  সামরিক ঘাঁটি
ধ্বংসের সেই রাত! গভীর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে বাজছে এয়ার রেড সাইরেন! তারই মধ্যে পরপর ধেয়ে আসছে রাশিয়ার (Russia) ক্রুজ মিসাইল! তীব্র বিস্ফোরণ! মুহূর্তে ছারখার সবকিছু! লাভিভ থেকে আরও পশ্চিমে দেড়শো কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক শহর লুৎস্কে (lutske, ukraine) মার্চ মাসের শেষদিকে ফের আছড়ে পড়ে রাশিয়ার ক্রুজ মিসাইল! তবে এবার টার্গেট কোনও সামরিক ঘাঁটি কিংবা কোনও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা ছিল না!! উড়িয়ে দেওয়া হয় লুৎস্কের সবচেয়ে বড় তেলের ডিপো!


মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক স্থাপত্য
লুৎস্কে পৌঁছনোর পরে অদ্ভূত অভিজ্ঞতা হয়। বুচা, বোরোডিয়াঙ্কা, ইরপিনের মতো শহরে অবাধে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু একেবারেই উল্টো ছবি ছবি লুৎস্কে। লুৎস্কের থিয়েটার স্কোয়ার ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেখা গেল, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একের পর এক ঐতিহাসিক স্থাপত্য। সাধারণ মানুষের বাড়িঘর অক্ষত! কিন্তু, রাশিয়ার হামলার ভয়ে কার্যত জনশূন্য হয়ে গেছে লুৎস্ক! 


যুদ্ধের ৫৫টা দিন কেটে গেলেও যে ছবিটা বদলায়নি! লুৎস্ক সিটি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানা গেল, এই শহরের জনসংখ্যা ২ লক্ষের কিছু বেশি কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দফায় লুৎস্কের ওপর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যার পরে দলে দলে মানুষ এই শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আর শহর হয়ে পড়েছে মনুষ্যহীন। 


ডনবাস অঞ্চলে হামলা
অন্যদিকে, ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে হামলার গতি বাড়িয়েছে রাশিয়ার সেনা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ক্রেমিন্না শহরের দখল নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এদিনই খারকিভ ও লাভিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।