লন্ডন: পড়তে চেয়ে কপালে গুলি খেয়ে মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে আসার সেসব দিন কবেই ভুলে গেছেন মালালা ইউসুফজাই। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া পাকিস্তানি কিশোরী এবার রাষ্ট্রপুঞ্জকে অনুরোধ করেছেন, কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ করে ভারতের ‘নির্মম অত্যাচার’ বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে। পাক তালিবানের গুলি খাওয়ার পর থেকেই মালালার ঠিকানা লন্ডন। তবে অনেকের অভিযোগ, একসময় পড়তে চেয়ে জঙ্গির গুলি খাওয়া মেয়েটি অদ্ভুতভাবে বেশ কিছুদিন ধরে সওয়াল করে আসছেন সেই জঙ্গিবাদের হয়ে। এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও খোলাখুলি মুখ খুলেছেন তিনি।


কাশ্মীর ইস্যুতে মালালা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক মহল ও পাকিস্তানকে একত্রে ‘কাজ’ করতে হবে। তাঁর কথায়, অন্য সব মানুষের মত, কাশ্মীরীদেরও সাধারণ মানবাধিকার প্রাপ্য। ‘ভয় ও নির্যাতন মুক্ত’ হয়ে তাঁদের বাঁচা উচিত। তাই, রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক সমাজ, ভারত ও পাকিস্তানের কাছে তাঁর অনুরোধ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, একসঙ্গে কাজ করে কাশ্মীরীদের প্রতি ‘অন্যায়’ বন্ধ করুন, যাতে তাঁরা ‘সম্মানের সঙ্গে স্বাধীনভাবে’ বাঁচতে পারেন।

মালালার আরও বক্তব্য, সব কাশ্মীরী ভাইবোনই তাঁর হৃদয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই তিনি তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। যেভাবে কাশ্মীরে সাম্প্রতিক অশান্তিতে অনেকে হতাহত হয়েছেন, সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি।

তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের কাশ্মীরের জন্য মালালার দরদ এত উথলে উঠলেও পাক অধিকৃত বালুচিস্তানে পাক সেনা যে নির্মম মানবাধিকার লঙ্ঘন চালাচ্ছে, তা কেন তাঁর চোখে পড়েনি। আইএসের যৌনদাসী হতে বাধ্য হওয়া কুর্দি ও ইয়েজিদি মেয়েদের দুঃখই বা তাঁর চোখে পড়েনি কেন।
@DailyTimes_DT so she has learned to sing to the crowd and realise what will get her rewarded. Braveheart tactically forgot Balochis & POK.

— dikgaj (@dikgaj) September 7, 2016



আরও প্রশ্ন, যে জঙ্গিরা তাঁকে মারতে চেয়েছিল, কাশ্মীরে ভারতের অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে তিনি সেই জঙ্গিদেরই মুখপাত্রের কাজ করলেন কিনা।