নয়াদিল্লি: মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে হারলেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। জয়ী হয়েছেন বিরোধী নেতা ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। এমডিপি প্রধান সলিহ মোট ভোটের ৫৮.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।


ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রের ভোটের ফল অত্যন্ত জরুরি কারণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও ভারত মহাসাগরে প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী চিন উভয়েই এর দিকে নজর রাখছিল। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন বেজিংয়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, পরিকাঠামোগত খাতে বিনিয়োগের জন্য চিনের থেকে শত শত কোটি ডলার ঋণ নেন তিনি। এই ঘনিষ্ঠতা স্বাভাবিকভাবেই ভারত ভাল চোখে দেখছিল না। বিরোধী নেতা সলিহর জয় তারা স্বাগত জানিয়েছে।

বিরোধী পার্টির জয়ে মালদ্বীপ জুড়ে এখন খুশির হাওয়া। এমডিপির হলুদ পতাকা হাতে রাস্তায় রাস্তায় আনন্দে মেতেছেন সমর্থকেরা। তবে ইয়ামিন এখনও পর্যন্ত পরাজয় নিয়ে মুখ খোলেননি। অভিযোগ উঠেছিল, ইয়ামিনের দল ভোটে জিততে বিপুল কারচুপি করেছে। সংবাদমাধ্যমের ওপর খবর সম্প্রচারেরও কড়াকড়ি ছিল। তা ছাড়া প্রায় সব বিরোধী নেতাদেরই জেলে পুরে দেওয়ায় বা দ্বীপান্তরে যেতে বাধ্য করায় তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীও কার্যত ছিল না। তাই মনে করা হয়েছিল, ভোটে ইয়ামিন সহজেই জিতে যাবেন। এমনকী জয়ী এমডিপির ভোট প্রচার বেআইনি আখ্যা দিয়ে পুলিশ তাদের সদর দফতরেও হানা দেয় পুলিশ। তাই মনে করা হয়েছিল, ইয়ামিন ক্ষমতা ধরে রাখার সব রকম চেষ্টা করবেন।

ইমপিচমেন্ট এড়াতে ফেব্রুয়ারিতে ইয়ামিন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, সাংবিধানিক কাজকর্ম বন্ধ করে সেনাকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টে হানা দিতে। বিচারপতিদের গ্রেফতার করা হয়, জেলে পোরা হয় বিরোধী নেতাদের।