নয়াদিল্লি: বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা দিল্লি বাতিল করে দেওয়ায় পাকিস্তানের ক্ষোভ কাটার এখনও লক্ষণ নেই। উল্টে এবার আলোচনা বাতিলের জন্য রাফালে চুক্তির কথা তুলেছে তারা। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি মন্তব্য করেছেন, রাফালে ‘কেলেঙ্কারি’ বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা থেকে ভারত একতরফা সরে এসেছে কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর ফলে বিপাকে পড়েছেন, সুতরাং জনতার নজর ঘোরানো জরুরি। তাই সাধারণ মানুষকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন।


ফাওয়াদ আবার টুইট করে বলেছেন, ভারতের অভিজাত শাসক সম্প্রদায় যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে কিন্তু তাঁরা সেই ফাঁদে পড়বেন না। সকলে জানে, ভারত সরকার এভাবে ঘৃণায় উসকানি দিয়ে রাফালে চুক্তির জেরে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে যে ডাক উঠেছে তার থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে।




একই মন্তব্য করেছেন পাক সেনা প্রধান আসিফ ঘফুরও। তাঁর অভিযোগ, ঘরোয়া সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতেই ভারত এভাবে আলোচনা বন্ধ করে দিল। পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘফুর আরও বলেছেন, তাঁরা এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে চান কিন্তু এই চেষ্টা তাঁদের দুর্বলতা হিসেবে দেখা অনুচিত। ভারতের যুদ্ধ চেয়ে হাঁকডাক করা উচিত নয়। আবার নিজেদের পরমাণু শক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ তখনই চাপিয়ে দেওয়া হয়, যখন আপনি তার জন্য প্রস্তুত নন। কিন্তু আমরা পরমাণু শক্তি সম্পন্ন দেশ, আমরা এ জন্য তৈরি।

অল্পদিন আগে এক বিএসএফ জওয়ানকে হত্যা করে তাঁর মাথা কেটে নিয়ে যায় পাক সেনা। সে কথা উল্লেখ করে সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত মন্তব্য করেন, পাক সেনা ও তাদের পোষা জঙ্গিদের এই বর্বরতার কঠোর জবাব দেওয়া জরুরি। তারা যে আদিম আচরণ করেছে, তা না করেও তাদের মুখের মত জবাব দেওয়া যায়। এর পরেই ঘফুরের এই সাবধানবার্তা।

নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সম্মেলনে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রস্তাবিত বৈঠক শুক্রবার বাতিল করে দেয় ভারত। জানিয়ে দেয়, জম্মু কাশ্মীরে যেভাবে ৩ পুলিশকর্মীকে খুন করা হয়েছে ও কাশ্মীরী জঙ্গি বুরহান ওয়ানির নামে ডাকটিকিট বার করেছে পাক সরকার, তার জেরে বন্ধ রাখা হল আলোচনা। এর পর থেকেই ইসলামাবাদ ফুঁসছে।