উত্তর লন্ডন থেকে গাড়িতে এক ঘণ্টার দূরত্বে হার্টফোর্ডশায়ারের টেউইন গ্রামে ‘লেডিওয়াক’ নামে একটি তিনতলা বাড়িই এখন মাল্যর স্থায়ী ঠিকানা। এই বাড়িটির মালিক ছিলেন ব্রিটেনের ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটনের বাবা। তাঁর কাছ থেকে ১.১৫ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে বাড়িটি কেনে এক বিদেশি সংস্থা। এখন এই বাড়িতে থাকছেন মাল্য। তাঁর দাবি, তিনি আইনসঙ্গতভাবেই এই বাড়ির মালিকানা পেয়েছেন। ১৯৯২ থেকেই তিনি ব্রিটেনের বাসিন্দা বলেও দাবি মাল্যর।
ব্রিটেনে বিদেশি সংস্থাগুলি ১৭০ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের স্থাবর সম্পত্তির মালিক। এই সংস্থাগুলির সম্পত্তি কেনার ঘটনা খতিয়ে দেখছে ব্রিটিশ সরকার। কারণ, অনেক সময়ই এই সংস্থাগুলির আসল মালিকের নাম প্রকাশ্যে আসে না। আগামী মাসে এক দুর্নীতি-বিরোধী সম্মেলনে বিদেশি সংস্থাগুলির সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সরকারি তথ্য বলছে, লেডিওয়াকের মালিক দুটি সংস্থা। তার একটির ঠিকানা সেন্ট কিটস ও নেভিস নামে একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র, যা কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য নামে পরিচিত। গত বছরের জুলাইয়ে এই বাড়িটি কেনার জন্য ঋণ দিয়েছিল সুইটজারল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্ক। ঋণ নিয়েছিল অপর এক কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে নথিভুক্ত একটি সংস্থা। ফলে এই বাড়িটি কেনার ক্ষেত্রেও বেনিয়মের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যদিও মাল্যর দাবি, তিনি কোনও তথ্য গোপন করেননি এবং কর ফাঁকিও দেননি।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক মাল্যর পাশপোর্ট বাতিল করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এই পরোয়ানাকে ভুল ও অন্যায্য আখ্যা দিয়ে তিনি আইন মেনে চলেন বলেও দাবি করেছেন মাল্য।