স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করতে গিয়ে হাতে বড়সড় ক্ষত হয়েছিল স্বামীর। সেই জন্য আবার ক্ষতিপূরণও পেয়ে গেল সেই ব্যক্তি। ঘটনাক্রমে তার হাত কেটে গিয়েছিল স্ত্রীকে কোপাতে গিয়ে ।  সেই আঘাতের জন্য সাড়ে ১৭ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিল আদালত। ডোরিনেল কোজানু নাম ওই ব্যক্তির। বয়স ৩৬। ২০১৫য় মত্ত অবস্থায় নিজের স্ত্রীকে মারার চেষ্টা করে সে। ১১ বছর জেলও হয় তার। 

আট ইঞ্চি ব্লেডের দিয়ে কোজানু তার প্রাক্তন স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী ড্যানিয়েলাকে ছুরিকাঘাত করে। ব্লেডটি তাঁর স্তন ফুঁড়ে ফুসফুস ভেদ করে। স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রায় ৪ মাস।  স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টার সময়, কোজানু এত জোরে ছুরি চালিয়েছিল যে তার ডান হাতের দুটি আঙুল গভীরভাবে কেটে যায়। যার জন্য অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল।

কোজানু এনএইচএসের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করে।  দাবি করে, কারাগারে পৌঁছানোর আগে ডাক্তারদের চিকিত্সার গাফিলতির কারণে  তার ডান হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও এখন তার ব্যবহারও সীমাবদ্ধ হয়েছে। ২০২১ সালের মে মাসে, নরউইচ কাউন্টি কোর্টে শুনানির সময়, আদালত তাকে সাড়ে ৮ হাজার ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। পরে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে যাওয়ার পর, যেখানে বিচারপতি রিচি তার ক্ষতিপূরণ সাড়ে ১৭ হাজার পাউন্ড করে দেয়। বিচারপতি বলেন,  আমার বিচারে সে কীভাবে তার আঙুল কেটেছে তার প্রক্রিয়াটি তদন্তাধীন। 

ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তার স্ত্রী ড্যানিয়েলা তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, 'এটা অপমানজনক এবং ঘৃণ্য। এই লোকটি একজন হিংস্র, গার্হস্থ্য নির্যাতনকারী যে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। এবং সে পুরস্কৃত হচ্ছে যখন আমি একটি পয়সাও পাইনি।' তিনি জানান, এই লোকটির জন্যই তাঁর স্তন ফুঁড়ে ঢুকে গিয়েছিল ব্লেড। ফুসফুস ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। একপ্রকার মৃত্যুকে কাছ থকে দেখে ফিরে এসেছিলেন তিনি।