পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, বেশ কিছু আপত্তিকর জুতো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য কোনও দোকানে এ ধরনের জুতো বিক্রি হচ্ছে কিনা, তা দেখতে বাজারে হানা দিচ্ছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধৃত দোকানদার জুতোয় ‘ওম’ চিহ্ন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন।
দোষী প্রমাণিত হলে ওই দোকানদারের সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল ও জরিমানা হতে পারে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ৩০ লক্ষ হিন্দুদের মধ্যে অধিকাংশই টান্ডো আদমে বসবাস করেন।
পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান রমেশ কুমার ভাঁকোয়ানি পুলিশের ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তদন্তে পুলিশ জেনেছে যে, লাহৌরে এক জুতো প্রস্তুতকারীর কাছ থেকে ওই জুতোগুলি কেনা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পঞ্জাব পুলিশকে বলা হয়েছে।
ভাঁকোয়ানি বলেছেন, কোনও ধর্মের অপমান একেবারেই অনৈতিক এবং রীতি বহির্ভূত। এই ঘটনায় দোষীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত।