বেজিং: ‘প্যায়ার কে সাইড এফেক্ট’ কখনও কখনও নির্মমও হতে পারে! প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসে বিমানবন্দরে ঠায় ১০ দিন অপেক্ষা করেও অনলাইন গার্লফ্রেন্ডের দেখা পেলেন না এক ডাচ নাগরিক। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ৪১ বছরের আলেকজান্ডার পিটার কির্ক নেদারল্যান্ড থেকে প্রেমের টানে ছুটে এসেছিলেন চিনে। গার্লফ্রেন্ড তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, এই আশায় টানা দশদিন ঠায় বসে রইলেন বিমানবন্দরে। কিন্তু তাঁর অনলাইন গার্লফ্রেন্ড এলেন না। চিনা ও গার্লফ্রেন্ডের পদবী ঝ্যাং। অপেক্ষা করতে করতে শেষপর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়লেন পিটার কির্ক। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।


এক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে ঝ্যাংয়ের সঙ্গে আলাপ হয় পিটার কির্কের। সেই আলাপ ক্রমে প্রেমে পরিণতি পায়। সবটাই অবশ্য অনলাইনে। এবার প্রেমিকার সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করতে মরিয়া কির্ক মধ্য চিনের হুনান প্রদেশের চাংশায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বিমানবন্দরে আসেননি ঝ্যাং। পরে বিমানবন্দরে পিটার কির্কের অপেক্ষা করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সব জানতে পারেন ঝ্যাং।

ঝ্যাং জানিয়েছেন, আমাদের রোমান্টিক সম্পর্ক অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরের দিকে পিটার কিছুটা উদাসীন হয়ে যায়। এরপর একদিন ও আমাকে বিমানের টিকিটের ছবি পাঠায়। ভাবছিলাম, ও মজা করছে। তারপর তো ও আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি।

ঝ্যাং আরও জানিয়েছেন, প্লাস্টিক সার্জারির জন্য তিনি অন্য একটি শহরে চলে গিয়েছিলেন। সেজন্য পিটারের মেসেজ তিনি পাননি।

পিটার কির্ক সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে যেতে পারেন। যদিও ঝ্যাং পিটারের সঙ্গে দেখা হবে বলে আশা করছেন। তাহলে কি ঝ্যাং-ই এবার পিটার কির্কের সঙ্গে দেখা করতে নেদারল্যান্ডে যাবেন? উত্তর জানতে অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।