পাকিস্তানের ক্রীড়া মহলে ও সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকেরই মত, সেরা হার্ট সার্জনদের বেশ কয়েকজন তাঁদের দেশেই আছেন। দুটি দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে হতে যখন তলানিতে ঠেকেছে, তখন মনসুর ভারত সরকারের কাছে ভিসার আবেদন করে ঠিক করেননি।
গত তিন বছর ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন মনসুর। করাচির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুল্যার ডিজিজের সিনিয়র প্রফেসর সার্জন পারভেজ চৌধুরি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে মনসুরের চিকিত্সার যাবতীয় বন্দোবস্ত রয়েছে। তিনি বলেছেন, ওঁকে এনসিআইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা শীঘ্রই ওর অস্ত্রোপচার করে বুকে লেফট ভেন্ট্রিক্যুলার অ্যাসিস্ট ডিভাইস (এলভিএডি) বসাব। এটা যান্ত্রিক ভাবে দুর্বল হার্টে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। এছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য অপারেশনও হবে যাতে উনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
১৯৯৪-এ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও বিশ্বকাপে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পেনাল্টি শ্যুট আউটে দুর্দান্ত সেভ করে তারকা হয়ে উঠেছিলেন মনসুর। অসুস্থতার সময় তাঁকে ভরসা দিয়ে প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি জানিয়েছেন, তাঁর ফাউন্ডেশন মনসুরের ট্রিটমেন্টের যাবতীয় খরচ বহন করবে।