তাইপে : করোনার সেই 'তাণ্ডব' এখন নেই। অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে, এখনও বিশ্বের সর্বত্রই করোনা-বিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে। আর তার অন্যতম হাতিয়ার অবশ্যই মাস্ক। এবার বিশাল আকারের সেই মাস্ক (Mask) তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল তাইওয়ানের (Taiwan) একটি মেডিক্যাল সাপ্লাই সংস্থ। বড়সড় সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরি করে ভেঙে ফেলল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও। এর মাপ ২৭ ফুট ৩ ইঞ্চি/১৫ ফুট ৯ ইঞ্চি।


সুদীর্ঘ এই মাস্কের আত্মপ্রকাশ করে মটেক্স হেল্থকেয়ার কর্প। চাংহুয়া কাউন্টিতে সংস্থা দ্বারা পরিচালিত শিক্ষামূলক পর্যটনের আকর্ষণ মোটেক্স মাস্ক ক্রিয়েটিভ হাউসে শুক্রবার ডায়মন্ড আকারের এই মাস্কের উদ্বোধন হয়।



গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন বিচারক লন্ডন থেকে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে ইভেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন । তিনিই নিশ্চিত করেন যে মাস্কটি, যা একটি স্ট্যান্ডার্ড ফেস মাস্কের চেয়ে ৫০ গুণ বড়, সবচেয়ে বড় সার্জিক্যাল মাস্কের রেকর্ড তৈরি করেছে। সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এত বড় আকারের মাস্ক তৈরির আইডিয়াটা এসেছিল ২০২০ সালের গোড়ার দিকে। করোনা অতিমারীর মধ্যে মাস্কের গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই ভাবনা আসে। 


আরও পড়ুন ; কোভিড রুখতে জীবাণুনাশক মাস্ক, ভারতীয় গবেষকদের নয়া আবিষ্কার


প্রসঙ্গত, কোভিড প্রতিরোধে সম্প্রতি নয়া মাস্ক তৈরি করেছেন কিছু ভারতীয় বিজ্ঞানী। তামা-ভিত্তিক ন্যানো পার্টিকেল দিয়ে তৈরি হয়েছে এই অ্যান্টিভাইরাল মাস্ক। যা করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি অন্যান্য ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম। এই মাস্ক বায়োডিগ্রেডেবল, অত্যন্ত শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য ও চাইলেই এই মাস্ক ধুতে পারবেন আপনি।


বাতাসের সঙ্গে কোভিডের জীবণুবাহিত হওয়ায় বর্তমানে মাস্ক পরা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত, বায়ুবাহিত হওয়ায় ঠিকমতো মাস্ক ব্যবহার না করলে শ্বাসযন্ত্রের ভিতরে ঢুকে যেতে পারে ভাইরাস। যা নিয়ে মুখ খুলেছে মন্ত্রক। প্রচলিত মুখোশ পরে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যে কঠিন তা জানিয়েছে তারা। বিশেষত হাসপাতাল, বিমানবন্দর, স্টেশন ও শপিং মলের মতো ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় ভাইরাসের চাপ অনেক বেশি। মন্ত্রক বলেছে,ভারতীয় বাজারে ব্যয়বহুল মাস্কেও অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই বড় হাতিয়ার হতে পারে এই জীবাণুনাশক মাস্ক।