লন্ডন: কনজারভেটিভ পার্টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারলেও পদত্যাগ করছেন না প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। উল্টে তিনি ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকী, পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ১০ দিনের মধ্যেই ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথাও জানিয়েছেন মে।


বাকিংহাম প্যালেসে গিয়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি বলেছেন, 'আমি সরকার গঠন করব। আমাদের দেশের এই সঙ্কটের মুহূর্তে নতুন সরকার স্থিরতা আনবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ১০ দিনের মধ্যেই ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। ব্রিটেনের মানুষের ইচ্ছা অনুসারেই দেশকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আলাদা করা হবে। এই পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। ম্যাঞ্চেস্টার ও লন্ডনে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের আদর্শ এবং এই আদর্শ মেনে চলা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

ব্রিটেনে ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে একক বৃহত্তম দল হয়েছে কনজারভেটিভরাই। তারা ৩১৮টি আসন পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেল ৩২৬টি আসনে জয় পাওয়া দরকার ছিল। সেটা পায়নি টোরিরা। কিন্তু ডিইউপি-র ১০ জন এমপি-র সমর্থনে সরকার গঠন করার কথা জানিয়েছেন মে। তিনি পদত্যাগ করার বদলে নতুন উদ্যমে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

বিরোধীরা অবশ্য মে-র পদত্যাগের দাবিতে অনড়। লেবার পার্টি ২৬২ আসনে জয় পেয়েছে। এই দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, দেশের মানুষ তাঁদের নীতি এবং কার্যকলাপের কথা জানেন। সেই কারণেই তাঁরা বিপুল সমর্থন পেয়েছেন। তাই মে-কে পদত্যাগ করতেই হবে। লিবারাল ডেমোক্রেট দলের নেতা টিম ফ্যারন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর লজ্জিত হওয়া উচিত। তাঁর যদি বিন্দুমাত্র আত্মমর্যাদা থাকে, তাহলে পদত্যাগ করা উচিত।