তাঁর ভাষণে মেরিল স্ট্রিপ হলিউডের বৈচিত্রের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন এখন মার্কিন সমাজের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, হলিউড, বিদেশী এবং সংবাদমাধ্যমের সমন্বয়ে ওই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ব্যক্তিরা এখানে এসে হলিউডকে সম্বৃদ্ধ করেছেন। এখন সবাইকে বাইরে বের করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ রকম হলে তো কোনও শিল্প থাকবে না।
ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে হলিউডের সর্বজনশ্রদ্ধেয় অভিনেত্রী বলেছেন, “চলতি বছরে একটা পারফরম্যান্সই দেখা গিয়েছে। এটা কোনও অভিনেতার নয়, ট্রাম্পের পারফরম্যান্স। একজন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী সাংবাদিককে ট্রাম্প যেভাবে ট্রাম্প ব্যঙ্গ করেছেন, তার প্রতিবাদেই এ কথা বলেছেন মেরিল স্ট্রিপ।
মেরিল বলেন, যখন এমন এক ব্যক্তি ওই সাংবাদিককে ব্যঙ্গ করেছিলেন তখন তিনি আমাদের দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসনে বসার দাবি করছেন। যিনি সুযোগসুবিধা, ক্ষমতার দিক থেকে ওই সাংবাদিকের থেকে অনেক বেশি উঁচুতে ছিলেন। ওই ছবি দেখে আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তা কিছুতেই ভুলে যেতে পারছি না। কারণ, সেটি কোনও সিনেমা ছিল না, ঘোর বাস্তব! মেরিলের মতে, অসম্মান অসম্মানকেই ডেকে আনে। হিংসার বদলে হিংসাই আসে। আর যখন কোনও ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যদের হেয় করেন তখন আমাদের সকলেরই হার হয়।
মেরিল স্ট্রিপের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তাঁকে অহঙ্কারি অভিনেত্রী আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এই আক্রমণ নিয়ে তিনি আদৌ বিস্মিত নন। মেরিল স্ট্রিপকে তিনি হিলারিপ্রেমী বলেও বিঁধেছেন ট্রাম্প।