জিনাতের পরিবার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, পাকিস্তানেরই কোনও গুপ্তচর সংস্থা অপহরণ করেছিল তাঁকে। তাঁর উদ্ধারে বড় ভূমিকা নেন বালোচিস্তান ও খাইবার পাখতুনওয়ালার গাঁওবুড়োরা।
পাকিস্তানে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে রত থাকতেন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জিনাত। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর আলাপ হয় পাকিস্তানে নিখোঁজ ভারতীয় নাগরিক হামিদ আনসারির না ফৌজিয়া আনসারির সঙ্গে। ২০১২-র নভেম্বরে কাজের নাম করে আফগানিস্তানে চলে যান হামিদ। পরে তাঁর পরিবার জানতে পারে, কোনও পাক মহিলার প্রেমে পড়ে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান গিয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই হামিদ নিখোঁজ।
হামিদের মায়ের হয়ে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের মানবাধিকার সেলে তাঁর সন্ধান চেয়ে আবেদন করেন জিনাত। মূলত তাঁর চাপেই এ ব্যাপারে সরকারি তদন্ত শুরু হয়। শেষমেষ পাক গোয়েন্দা সংস্থাগুলি স্বীকার করে, হামিদ তাদের আওতায় রয়েছেন।
জিনাতের পরিবারের অভিযোগ, হামিদের ব্যাপারে বেশি খোঁজখবর করার জন্যই তাঁকেও একবার জোর করে তুলে নিয়ে যায় সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে হামিদের ব্যাপারে জেরা করে।
২০১৫-য় ‘চরবৃত্তি’র দায়ে হামিদকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের এক সেনা আদালত। সে বছরই নিখোঁজ হন জিনাত।