হামবুর্গ: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আঞ্চলিক সমস্যার ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের’ ডাক দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ভুটান সীমান্তে চিন ও ভারতের সেনার মধ্যে সংঘাতের আবহাওয়া বজায় থাকার ফলে নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিংয়ের সাক্ষাত ঘিরে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। কিন্তু, সব জল্পনায় জল ঢেলে সংঘাতের জায়গা থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে করমর্দন করে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
শুক্রবার, জার্মানিতে ক্ষণিক বৈঠকে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। হামবুর্গে চলছে ব্রিকস সম্মেলন। ফলত, সম্মেলনে উপস্থিত ছিল এই গোষ্ঠীর অন্যতম দুই সদস্য দেশ—ভারত ও চিন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে টুইটারে জানান, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে কথোপকথন হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে।
জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিকস-এর পার্শ্ববৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিনের ‘প্রশংসা’ করেন মোদী। বর্তমানে ব্রিকস-ব্লকের সভাপতিত্বে রয়েছে চিনের। এদিন মোদী জানান, চিনের নেতৃত্বে ব্রিকস গতি পেয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে চিনের শিয়ামেনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ব্রিকস-এর পরবর্তী সম্মেলন। সেখানে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পরই বলতে উঠে শি জিনপিংও ভারতের প্রশংসা করে জানান, ভারতের নেতৃত্বে ব্রিকস যে গতি পেয়েছে, তাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চিন।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। চিনা সংবাদসংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত খবর, বৈঠকে ব্রিকস সদস্য দেশগুলির উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক বিরোধিতায় ইতি টানার আহ্বান করেন জিনপিং। বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমেই সকল আঞ্চলিক সমস্যার মোকাবিলা করা উচিত। যদিও, আঞ্চলিক সমাধান বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তার ব্যাখ্যা করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত সংঘাতের জেরে মোদী-জিনপিং সাক্ষাত ঘিরে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। গতকালই চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, মোদী ও জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল নয়। যদিও, এদিন সব জল্পনায় অবসান ঢেলে
ভারত-ভুটান-চিন সীমান্ত লাগোয়া একটি ছোট্ট ফালি জমি – ডোকালামের আধিপত্য নিয়ে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে গত তিন সপ্তাহ ধরে জোর সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিনের অভিযোগ, ভুটানে তাদের সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ডোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে নয়াদিল্লিকে বলে বেজিং। যদিও, চিনের সেই দাবি খারিজ করে ভারত জানিয়ে দেয়, ডোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই।