ওয়াশিংটন: কখনও স্মৃতিচারণা, কখনও বিপদের দিনে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। কখনও আবার নিজের সরকারের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দেওয়া। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে এরকমই নানাবিধ ভূমিকায় দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
২০০২-এর গুজরাত হিংসায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর পর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভিসা মঞ্জুর করেনি আমেরিকা। ১৪ বছর পর সেই মোদীই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন। মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের সামনে বললেন, প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করাই তাঁর সরকারের কর্তব্য।

গুজরাত হিংসার পর তার ভিসার আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু, তার আগেই যে মার্কিন মুলুক ঘুরে দেখেছিলেন তিনি, এদিন ভাষণে সেই স্মৃতিচারণাও করেন মোদী। বলেন, কেন্দ্রের দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগেই আমি মার্কিন মুলুকের ২৯টি স্টেটে ঘুরে গিয়েছিলাম। সেই স্মৃতি আজও রয়েছে।



মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী ভারতীয়রা বরাবরই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের সেতু গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তার অন্যতম প্রমাণ মিলেছে ২০০৮-এর ইন্দো-মার্কিন পরামণু চুক্তির সময়। এদিন তাদের অবদানেরও ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় মোদীর গলায়। বলেন, দু দেশের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেছে এদেশে বসবাসকারী প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয়-মার্কিন নাগরিক। আজ তাঁদের মধ্যেই রয়েছে সেরা সিইও, শিক্ষাবিদ, মহাকাশচারী, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, চিকিৎসক, এমনকী স্পেলিং-বি চ্যাম্পিয়ন।

২০০৮-এ মুম্বই হামলায় সময় ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। বারাক ওবামা যুগের অবসানের পর আর কয়েক মাস বাদেই নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে আমেরিকা। হিলারি ক্লিন্টন, না ডোনাল্ড ট্রাম্প-- হোয়াইট হাউসের নতুন বাসিন্দা কে হবেন? তাঁর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক কীরকম হবে? সেসব মাথায় রেখেও কি আগামীর বার্তা দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী?