ওয়াশিংটন:  ওয়াশিংটনে তখন মধ্যরাত, ভারতে সবে সকাল হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি-র জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে পা রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে সেখানে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিনবাসী ভারতীয়রা। মোদী সেখানে পৌঁছনোর আগে তাঁদের গলায় শোনা যাচ্ছিল মোদীর জয়ধ্বনি এবং ভারত মাতা কি জয়।



প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসার পর, বার কয়েক মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে ট্রাম্পের। তবে এই প্রথম তাঁদের সামনা সামনি দেখা হবে আগামীকাল, অর্থাৎ সোমবার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওবামা জমানার শেষ হওয়ার পর ট্রাম্পের অধীনে কার্যত সে দেশের সমস্ত কিছুরই আমুল পরিবর্তন ঘটে গেছে। প্রশাসনিক ক্ষেত্র থেকে চিকিত্সা ব্যবস্থা, সবকিছুই সাক্ষী থেকেছে বদলের। কিন্তু তারমধ্যেই একটা বিষয় স্থির থেকেছে, সেটা হল ভারত-মার্কিন রাজনৈতিক সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েই মোদীর মার্কিন সফরের আগে তাঁকে পরম বন্ধু বলে সম্মোধন করে একটি টুইটও করেছেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেছেন তাঁর এই পরম বন্ধুর সঙ্গে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

সোমবার মোদী-ট্রাম্পের দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকটি হবে হোয়াইট হাউসে। জানা গিয়েছে সেখানে মোদীকে দেওয়া হবে রেড কার্পেট ওয়েলকাম। এছাড়া মোদীই হতে চলেছেন প্রথম রাষ্ট্রনেতা যাঁকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পাঁচ মাস বাদে এই প্রথম হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

মোদীর এই সফরে যে বিষয়গুলি সবচেয়ে গুরুত্ব পেতে চলেছে তারমধ্যে রয়েছে

  • ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা এবং শক্তি সংক্রান্ত চুক্তি আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আলোচনা।

  • সোমবার দুই রাষ্ট্রনেতার প্রথম দেখা হবে। স্বাভাবিকভাবেই সন্ত্রাসদমন নীতি তাঁদের আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে

  • আগামীকালের বৈঠকে প্রথমে দুই রাষ্ট্রনেতা একান্তে কথা বলবেন। তারপর সেখানে উপস্থিত থাকবেন দুদেশের সরকারি প্রতিনিধিরা। পুরো অনুষ্ঠানটিই হবে হোয়াইট হাউসে।

  • এছাড়া বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ২২টি আনআর্মড গার্ডিয়ান ড্রোন চুক্তিটি। মোদীর লক্ষ্য এবার বিনা বাধায় যেন সবুজসঙ্কেত পেয়ে যায় চুক্তিটি। প্রসঙ্গত, দু থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের এই ড্রোন চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেব বিশ্বমঞ্চে পরিচিত হবে ভারত।