উহান (চিন): ভারত-চিন সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে আলোচনা নরেন্দ্র মোদী, শি জিনপিংয়ের। দুজনে আজ এখানে দুদিনের অঘোষিত শীর্ষ বৈঠকে এ ব্যাপারে মতবিনিময় করছেন। দ্বিপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যুতে মুখোমুখি দফায় দফায় কথা বলবেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী মোদী মধ্য চিনের এই শহরে আজ সকাল সকাল পৌঁছে যান। প্রেসিডেন্ট শি তাঁকে মহা সমারোহে অভ্যর্থনার আয়োজন করেন। তারপরই তিনি ঘরোয়া আলোচনার জন্য পৌঁছে যান উহানে, যে জায়গাটি বিপ্লবী চিনা নেতা মাও জে দংয়ের খুব পছন্দের অবসর যাপনের স্থান ছিল একসময়।





বিশেষজ্ঞ মহল গত বছর ৭৩ দিনের ডোকালাম সঙ্কটে নষ্ট হওয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোড়া লাগাতে ভারত ও চিনের প্রয়াস বলেই দেখছে মোদী ও শি-র এই বৈঠককে। এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার ট্যুইট করেছেন, সেই বহু প্রতীক্ষিত অঘোষিত সামিট অবশেষে শুরু হল। উহানে হুবেই প্রাদেশিক মিউজিয়ামে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। দুই নেতা একান্তে কথা বলেছেন, যেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার ব্যাপারে মতামত বিনিময় করেছেন তাঁরা।
আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতিকে তাঁরা কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।
মোদী ও শি হুবেই মিউজিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেন। তার আগে তাঁরা মিডিয়ার সামনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে হাত মেলান, ছবিও তোলান।


/code>

তবে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে মন্তব্য করেছেন, টিভি ফিড দেখলাম, সফরে আপনাকে উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে! রাহুল প্রধানমন্ত্রীর দু দিনের চিন যাত্রাকে কোনও এজেন্ডাহীন সফর বলে উল্লেখ করে মনে করিয়ে দেন, তিনি যেন ডোকালাম ও চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর ইস্যু চিনা নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় অবশ্যই তোলেন। চিন-পাক করিডর গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে। ওটা ভারতের জমি। ভারত চায় আপনি এই জরুরি ইস্যুগুলিতে মুখ খুলুন। আমাদের সমর্থন পাবেন আপনি।