ওয়াশিংটন: সৌরমন্ডলের সবচেয়ে দূরের গ্রহ প্লুটোর বায়ূমন্ডলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে তার উপগ্রহ চারোন। বরফে মোড়া এই বামন গ্রহটির বায়ূমন্ডলকে একটি বিশেষ এক আড়াল গড়ে সৌরবায়ুর হাত থেকে রক্ষা করে চলেছে এর চাঁদ। চারোনের গড়ে তোলা বর্মে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যায় সৌরবায়ূ। নতুন একটি গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে।
সৌরমন্ডলে প্লুটোর সঙ্গে তার চাঁদ চারোনের সম্পর্কটা অন্য ধরনের। এর কারণই হল প্লুটোর আকার ও চারোনের সঙ্গে তার দূরত্ব। চারোন প্লুটোর ব্যাসের অর্ধেক এবং মাত্র ১৯,৩১২ কিমি দূরত্বে সেটি প্লুটোকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। সোজা কথায়, পৃথিবী থেকে চাঁদের দুরত্ব এর  তিনগুণ এবং চারোনের আকার মঙ্গলগ্রহের  মতো।
আমেরিকার জর্জিয়া ইন্সস্টিটিউট অফ টেকনোলজি গবেষকদের এই গবেষণায় প্লুটো ও তার চাঁদের সম্পর্ক সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সৌরবায়ূর  ফলে প্লুটোর বায়ূমন্ডলের ক্ষয়ের  ক্ষেত্রে চারোনের প্রভাব সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে ওই গবেষণায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, চারোন যখন সূর্য ও প্লুটোর মাঝে থাকে তখন সেটি প্লুটোর বায়ূমন্ডলের ক্ষয়ের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।
গষেষণার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ক্যারোল পাটি বলেছেন, চারোনের কিন্তু সবসময় নিজস্ব বায়ূমন্ডল থাকে না। কিন্তু যখন সূর্য ও প্লুটোর মাঝখানে চারোন থাকে তখন ওই বায়ূমন্ডলেরই ঢাল গড়ে তোলে। এতেই ধাক্কা খেয়ে ফিরে যায় সৌর বায়ু।
মহাকাশযান নিউ হরিজোন-এর অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য পূথিবীতে আসার আগে এই গবেষণা চালানো হয়েছে এবং প্লুটোর বায়ূমন্ডলের ক্ষয় সংক্রান্ত যে তথ্য মহাকাশযানটি পাঠিয়েছে, তার সঙ্গে গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যতম গবেষক জন হ্যালে বলেছেন, বিশ্বের উত্পত্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে প্লুটো থেকে প্রাপ্ত তথ্য সহায়ক হতে পারে। কারণ, কক্ষপথে সূর্যের নিকটবর্তী গ্রহগুলি যে পরিমাণ তাপ পায় প্লুটো সেরকম তাপ পায় না। ফলে প্লুটোতে এমন অনেক উপাদান রয়েছে সেগুলি জমাট বাঁধেনি।