ভ্যাটিকান সিটি: মাদার টেরেসার আশীর্বাদে অলৌকিকভাবে মস্তিষ্কের সংক্রমণজনিত রোগ থেকে সেরে ওঠা মার্সিলিও হাদ্দাদ অ্যান্ড্রিনো নিজেকে ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদধন্য মনে করছেন না। এই ব্রাজিলিয়ানের মতে, তিনি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে ঈশ্বর তাঁকে আলাদা করে বেছে নেননি। তাঁর এই ঘটনা ঈশ্বরের অপার করুণা এবং ভালবাসার উদাহরণ মাত্র। মাদার টেরেসা সবাইকে সমান চোখে দেখতেন। অন্য কোনও ব্যক্তি তাঁর কৃপা পেতেই পারেন।

 

অ্যান্ড্রিনোর স্ত্রী ফার্মান্দা ন্যাসিমেন্টো রোখা বলেছেন, ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা মাদারের আশীর্বাদ চেয়ে প্রার্থনা শুরু করেন। সে বছরের ডিসেম্বরে চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারই অ্যান্ড্রিনোকে সুস্থ করে তোলার একমাত্র উপায় হতে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। কারণ, ওষুধ কাজ করছিল না। ঠিক সেই সময় প্রার্থনায় সাড়া দেন মাদার। চিকিৎসকরা যখন অ্যান্ড্রিনোর ঘরে ফিরে আসেন, তখন তাঁরা দেখেন রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ। ৬ মাসের মধ্যেই কাজে যোগ দেন অ্যান্ড্রিনো। এরপর তাঁদের দুটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। এ সবই মাদারের অলৌকিক ক্ষমতার ফল বলেই মনে করেন অ্যান্ড্রিনো ও তাঁর স্ত্রী।

 

গত বছরের ডিসেম্বরে পোপ ফ্রান্সিস ঘোষণা করেন, অ্যান্ড্রিনোর রোগমুক্তির ঘটনা অলৌকিক। চিকিৎসকদের পক্ষে তাঁকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব ছিল না। মাদারের অলৌকিক ক্ষমতার বলেই সেরে ওঠেন এই ব্রাজিলিয়ান। সেই কারণেই রবিবার মাদার টেরেসাকে সন্ত উপাধী দেবেন পোপ।

 

এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভ্যাটিকান সিটিতে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ভ্যাটিকানের মুখপত্র গ্রেগ বারকি জানিয়েছেন, এক লক্ষ টিকিট বিলি করা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শক হাজির থাকবেন।