৩২ বছর ধরে একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন মাভিস ওয়ানজিক (৫৩) নামে ওই মহিলা। তিনি দুই সন্তানের মা। লটারি জেতার পরে তিনি বলেছেন, ‘আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এটা কোনওদিন ভাবতে পারিনি। আমি হাসপাতালে জানিয়ে দিয়েছি, সেখানে আর যাব না। আমি এবার বিছানায় লুকিয়ে থাকব। আরাম করা ছাড়া আপাতত অন্য কোনও পরিকল্পনা নেই।’
মাভিস আরও বলেছেন, ‘এক সহকর্মীর কাছ থেকেই জ্যাকপট জেতার কথা জানতে পারি। সেই সময় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। এই খবর জেনে আমি এত অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম, গাড়ি চালাতে পারছিলাম না। তাই আমি যাতে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছতে পারি সেটা নিশ্চিত করার জন্য তিনি আমার সঙ্গে আসেন।’
বস্টনের পশ্চিম দিকে ১০০ মাইল দূরে শিকোপি নামে একটি ছোট্ট শহরের একটি দোকান থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন মাভিস। পরিবারের লোকজনের জন্মতারিখ অনুসারে নম্বর বেছে নিয়েছিলেন তিনি। নম্বরগুলি ছিল ৬, ৭, ১৬, ২৩ ও ২৬। সেই নম্বরগুলিই জ্যাকপট জিতেছে। যেখান থেকে মাভিস লটারির টিকিট কিনেছিলেন, সেই দোকানের মালিক ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পাবেন। তিনি এই অর্থ দান করার কথা ঘোষণা করেছেন।